ইনকিলাব ডেস্ক : জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ এবং আল বুরাক (ওয়েস্টার্ন ওয়াল)’র সাথে ইহুদি ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই বলে ইউনেস্কো রায় দিয়েছে। এই ভোটাভুটির বিপুল গুরুত্ব রয়েছে। কারণ এর মাধ্যমে জেরুজালেমের ওপর ইহুদি ধর্মের আধ্যাত্মিক দাবি নস্যাৎ হয়ে গেল। আর ফিলিস্তিনিদের দাবি আরো জোরদার হলো। এই দাবি নিয়ে জাতিসঙ্ঘ সংস্থাটিতে ২৪ সদস্য পক্ষে ভোট দেয়, বিপক্ষে ভোট দেয় মাত্র ৬টি। আর ২৬ সদস্য ভোটদানে বিরত থাকে। মিসর, আলজেরিয়া, মরক্কো, লেবানন, ওমান, কাতার, সুদান ও ফিলিস্তিন এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। প্রস্তাবটিতে বলা হয়, আল-আকসা মসজিদ এবং এর আঙিনা কেবল মুসলমানদের জন্যই পবিত্র। ইসরাইলি কূটনীতিকরা এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করা কিংবা অন্তত ভোটদানে বিরত থাকার জন্য ইউনেস্কো সদস্যদের রাজি করানোর চেষ্টা করে।
অপর খবরে বলা হয়, মুসলিমদের দ্বিতীয় কিবলা হিসেবে পরিচিত জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদকে ইহুদিদের পবিত্র স্থান হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়ায় জাতিসংঘের সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ইসরাইল। গত শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফেসবুকে এক পোস্টে দাবি করেছেন, ইউনেস্কো অবাস্তবতার মঞ্চে পরিণত হয়েছে এবং আরেকটি ভ্রমাত্মক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইসরাইলের শিক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেনেথ দাবি করেছেন, ইউনেস্কোর খসড়া প্রস্তাবে আল-আকসা মসজিদকে ইহুদিদের পবিত্র স্থান হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়া ইতিহাসকে প্রত্যাখ্যান এবং সন্ত্রাসে মদত দেয়ার শামিল। মুসলিমদের কাছে আল-আকসা মসজিদ হিসেবে পরিচিত এই স্থাপনাটি ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট হিসেবে পরিচিত। সাতটি আরব দেশের খসড়া প্রস্তাবে জেরুজালেমে এই পবিত্র স্থান নিয়ে ইসরাইলের কর্মকা- ও পশ্চিম তীর দখলের সমালোচনা করা হয়েছে। এতে স্থাপনাটিকে আল-আকসা মসজিদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিবিসি, মিডলইস্ট মনিটর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন