রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, আমেরিকা ও ন্যাটো জোটের কয়েকটি সদস্য দেশ কৃষ্ণ সাগরে রুশ সীমান্তের কাছে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে যুদ্ধের উসকানি দিচ্ছে। কৃষ্ণ সাগরে এগুলো তাদের অপরিকল্পিত মহড়া। তারা শুধু শক্তিশালী নৌ বাহিনীই পাঠাচ্ছে না বরং কৌশলগত বিমানসহ যুদ্ধ বিমান পাঠাচ্ছে। এটি আমাদের জন্য মারাত্মক চ্যালেঞ্জ।” শনিবার সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে পুতিন এসব কথা বলেছেন। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা কৃষ্ণ সাগরের আকাশে ন্যাটো জোটের ছয়টি গোয়েন্দা উড়োজাহাজ শণাক্ত করেছে। পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে গুপ্তচরবৃত্তি জোরদার করেছে তার অংশ হিসেবে এসব উড়োজাহাজ পাঠানো হয় বলে রুশ মন্ত্রণালয় মনে করছে। রুশ সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা মার্কিন নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে। মার্কিন এই তৎপরতাকে রুশ সামরিক বাহিনী বলছে, আমেরিকা সম্ভাব্য যুদ্ধের ক্ষেত্র নিরীক্ষণ করছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস সফর করার পর এসব সতর্কবার্তা এলো। ল্যাভরভ জানান, কৃষ্ণ সাগরে ন্যাটো নৌবাহিনীর অতিরিক্ত উপস্থিতি এবং তার দেশের বিরুদ্ধে ন্যাটো সামরিক জোটের আগ্রাসী অবস্থান নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন। অপর এক খবরে বলা হয়, ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ সেনার সমাবেশ ঘটিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি এ তথ্য দিয়ে বলেছেন, রাশিয়ার এসব সেনাদের মুভমেন্ট সম্পর্কে কিয়েভকে জানিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। জেলেনস্কি তার ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, আমি আশা করছি পুরো বিশ্ব এখন দেখতে পাচ্ছে কে শান্তি চায়। আর কে আমাদের সীমান্তের কাছে এক লাখ সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে। রয়টার্স, আরটি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন