এসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান ন্যাশন্সের (আসিয়ান) নেতাদের সঙ্গে চীনের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে। এই সম্মেলনে মিয়ানমারের শীর্ষ জেনারেলকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বেইজিংয়ের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে আসিয়ানের সদস্য রাষ্ট্রগুলো। সে কারণে মিয়ানমারের কোনো প্রতিনিধি ছাড়াই এই সম্মেলন শুরু হয়েছে। এর আগে গত ২৬ অক্টোবর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্থা আসিয়ানের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়। ২৬ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত তিনদিনের ভার্চুয়াল সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের নেতা অংশ নেন। ওই সম্মেলনে অরাজনৈতিক প্রতিনিধি হিসেবে মিয়ানমারের উচ্চপদস্থ কূটনীতিক চ্যান আই-ই’কে আমন্ত্রণ জানায় সংস্থার বর্তমান সভাপতি ব্রুনেই। কিন্তু তিনি এতে যোগ দেননি। গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। সে সময় অং সান সু চিসহ বেশ কয়েকজন নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। তখন থেকেই দেশের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করছে সামরিক জান্তা সরকার। দেশে জান্তা সরকার ক্ষমতার অপপ্রয়োগ শুরু করলে দেশজুড়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ শুরু হয়। বেসামরিক নাগরিকদের ওপর জান্তা সরকারের নিপীড়ন, বর্বর আচরণের কারণে আসিয়ান সম্মেলনে জান্তা প্রধানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার আসিয়ানভূক্ত দেশগুলোর সঙ্গে চীনের বৈঠকেও মিয়ানমারের কোনো প্রতিনিধিকে রাখা হয়নি। এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার আসিয়ান তাদের আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলন থেকে মিয়ানমারের কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং হ্লাইংকে বাদ দিলো। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং ব্রুনেইয়ের অসম্মতির কারণেই চীন সোমবারের এই সম্মেলনে মিয়ানমারের জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইংকে রাখতে পারেনি। আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো হলো ব্রুনেই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মিয়ানমার, ফিলিপাইনস, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম। ১৯৯৭ সালে আসিয়ানের সদস্য পদ লাভ করে মিয়ানমার। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন