গত মাসেই কঙ্গনা রানাওয়াতের এক ইনস্টাগ্রাম পোস্ট ঘিরে তুমুল সমালোচনা দেখা দিয়েছিল। কৃষি আইন প্রত্যাহারের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় আন্দোলনরত কৃষকদের ‘খালিস্তানি’ বলে আক্রমণ শানিয়েছিলেন কঙ্গনা। সেই মন্তব্য শিখ সম্প্রদায় এবং শিখ কৃষক আন্দোলনকে আঘাত করেছে এই অভিযোগ এনে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে। সেই বিতর্কের আগুন ঠা-া হওয়ার আগেই নয়া বিতর্কে কঙ্গনা। এবার পাঞ্জাবে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তিনি।
ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তাবাহিনী নিয়েই ঘোরেন কঙ্গনা। তা সত্ত্বেও গতকাল পাঞ্জাবের কিরাটপুর সাহিবের কাছে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেন অভিনেত্রী। এদিন একদল জনতা কঙ্গনার গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায়, ঘটনা চ-ীগড়-উনা হাইওয়ের। দীর্ঘক্ষণ ওই বিক্ষোভরত জনতার মাঝে আটকে ছিল কঙ্গনার গাড়ির কনভয়।
সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন অভিনেত্রী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছুটে আসে পাঞ্জাব পুলিশ, তবে জনতার রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁদেরও। কিন্তু কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত জানিয়েছেন, কঙ্গনার গাড়ি ঘিরে এ বিক্ষোভ নিয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবার আশ্বাস দেন তিনি। এদিন বিক্ষোভ চলাকালীন গাড়ির ভিতর থেকে একটি ভিডিয়ো বার্তা পোস্ট করেন। জানান, ‘অনেক মানুষ আমার নাম নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটবার চেষ্টা চালাচ্ছে, তারই ফলে আজ এইসব ঘটছে। আজ পুলিশ না থাকলে আমাকে প্রকাশ্যেই পিটিয়ে মারা হতৃ এদের লজ্জা হওয়া উচিত’।
ওই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে কঙ্গনা অপর এক ভিডিয়ো বার্তায় তার অনুরাগীদের উদ্দেশে বলেন- ‘আমি সুরক্ষিত অবস্থায় ওই এলাকা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি। এর জন্য পাঞ্জাব পুলিশ ও সিআরপিএফ-কে অশেষ ধন্যবাদ’। জানা গিয়েছে, বিক্ষোভরত জনতা কঙ্গনাকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানায়। শিখবিরোধী মন্তব্য ফিরিয়ে নেওয়ার কথা চিৎকার বলে বলতে থাকে তারা। কৃষি বিল নিয়ে মন্তব্যের জেরে একাধিক হুমকি পাচ্ছেন তিনি, এর জেরে গত মঙ্গলবারই পুলিশে এফআইআর দায়ের করেছিলেন কঙ্গনা। তিনদিনের মধ্যেই বিক্ষোভের মুক্তি পড়লেন অভিনেত্রী। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন