আজ ১১ ডিসেম্বর, আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস। ‘টেকসই পর্বত পর্যটন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতিসংঘভুক্ত সদস্য দেশগুলো দিনটি পালন করবে। পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও টেকসই ভবিষ্যতকে সামনে রেখে জাতিসংঘ ২০০৩ সালে ১১ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। সেই থেকে প্রতি বছর বিভিন্ন দেশে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে।
আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট তার বাণীতে বলেন, ‘বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকার বৈচিত্র্যময় ভূ-প্রকৃতি, নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পার্বত্য অধিবাসীদের বর্ণিল কৃষ্টি-ঐতিহ্য কেবল বাঙালিদের নয়, বিশ্ববাসীকেও প্রবলভাবে আকর্ষণ করে। প্রকৃতির সঙ্গে বসবাস করে পার্বত্য এলাকার জনগণ যেমন জীববৈচিত্র্যকে সংরক্ষণ করছে, তেমনই তারা পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।’
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেছেন, ‘২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার শান্তিচুক্তির আলোকে পার্বত্য অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠন করেছি। এ অঞ্চলের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, অবকাঠামো, মোবাইল নেটওয়ার্কসহ সকল খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পার্বত্য জেলাগুলোর নৈসর্গিক সৌন্দর্য সমুন্নত রাখা ও পর্যটন শিল্পের প্রসারেও আমরা নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছি।’
এদিকে, আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা ও দেশের পার্বত্য অঞ্চলে রয়েছে বিশেষ কর্মসূচি। ঢাকায় বেইলি রোডের পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে সকাল সাড়ে ১১টায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়কমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এতে প্রধান অতিথি থাকবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন