ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে রোববার ভোরে এক টুইট বার্তায় জানানো হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্ট অল্প কিছু সময়ের জন্য হ্যাক করা হয়েছিল। এরপর তার অ্যাকাউন্ট থেকে ক্রিপটোকারেন্সি বিটকয়েন সম্পর্কে একটি টুইট করা হয় - যাতে দাবি করা হয় যে, ভারত সরকার এই ডিজিটাল মুদ্রাকে টেন্ডারের কাজে ব্যবহারের জন্য বৈধতা দিয়েছে। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সোশাল মিডিয়াতে করা পোস্টে বলা হয়, “প্রধানমন্ত্রী মোদির টুইটার হ্যান্ডেল সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য হ্যাক করা হয়েছিল। বিষয়টি টুইটারকে জানানো হয়েছে এবং তাৎক্ষণিকভাবে তার অ্যাকাউন্টটি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও এই সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো টুইট করা হয়ে থাকলে সেগুলো উপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।
বলা হচ্ছে, শনিবার মধ্যরাতের পর ২.১১ থেকে ২.১৫ -এর মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। হ্যাক করা টুইটে বলা হয়, “ভারত সরকার টেন্ডারে ব্যবহারের জন্য বিটকয়েনকে বৈধ মুদ্রা হিসেবে গ্রহণ করেছে। সরকার ৫০০ বিটকয়েন ক্রয় করেছে যা দেশের লোকজনের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে।” এ টুইটের সঙ্গে একটি লিঙ্কও সংযুক্ত করা হয়। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে এই টুইট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত টুইটার হ্যান্ডেল থেকে মুছে ফেলা হয়, কিন্তু তার আগে এর স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এনিয়ে সোশাল মিডিয়াতে লোকজন নানা রকমের মন্তব্য করতে থাকে। এনিয়ে ছড়িয়ে পড়ে নানা জল্পনা কল্পনাও। যুব কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট শ্রীনিভাস বিবি টুইট করেন, “সুপ্রভাত মোদিজি, সব ঠিক তো’?
হ্যাক হওয়ার ঘন্টাখানেক পর প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে এই ঘটনার ব্যাপারে একটি পোস্ট দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়।
এর আগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কিত ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপ কিছু অজানা গ্রুপ হ্যাক করেছিল। টুইটারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাত কোটি ৩০ লাখেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে এবং তিনি বিশ্বের শীর্ষ রাজনীতিবিদদের একজন যার টুইটারে এত বেশি ফলোয়ার। সূত্র : বিবিসি বাংলা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন