হাসপাতালের সাবেক ইলেকট্রিশিয়ান তিনি। দুই দশক আগে মানুষ হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন। এছাড়া হাসপাতালের মর্গে শতাধিক লাশের সাথে বিকৃত যৌনাচারের কথাও স্বীকার করেছেন। তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। ঘটনাটি ঘটেছে ইংল্যান্ডে। জানা গেছে, ৬৭ বছর বয়সী ডেভির ফুলার গত বছরের ডিসেম্বরে আটক হন। ডিএনএ পরীক্ষার ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয় ১৯৮৭ সালের পৃথক দুটি হত্যা মামলায়। এরপর ডেভিডের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয় সেই হত্যাকাণ্ড দুটোর সাথে সম্পর্ক খোঁজার জন্য। পুলিশ এবার ডেভিডের কুকীর্তির ব্যাপারে বিস্তর তথ্য-প্রমাণ পায়। ইংল্যান্ডের দুই হাসপাতালের মর্গে ১২ বছর ধরে কাজ করার সময় শতাধিক লাশের সাথে বিকৃত যৌনাচারের পাশাপাশি ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে রেখেছেন ডেভিড। অন্তত ১০২ জনের লাশের সাথে তার বিকৃত আচরণের ভিডিও রয়েছে। সাসেক্স হসপিটাল এবং টানব্রিজ ওয়েলস হসপিটালে ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করা অবস্থায় তিনি এইসব অপকর্ম করেছেন। ডেভিডের লালসার শিকার মরদেহগুলোর অনেক ছিল শিশুর। এমনকি ৮৫ বছরের ঊর্ধ্বের নারীদের দেহও তার লালসা থেকে রক্ষা পায়নি। দুই নারীকে যৌন নিপীড়ন চালিয়ে হত্যাও করেছেন তিনি। তারা হলেন ওয়েন্ডি নিল এবং ক্যারোলিন পিয়ের্স। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে ক্যারোলিনের মা ক্যাটরিনা ফ্রস্ট বলেছেন, আমার মেয়ের হত্যাকাণ্ড ছিল সত্যিই ভয়ঙ্কর। সেটা আমাকে এখনো প্রভাবিত করে চলেছে। ডেভিড ফুলার একটা পশু; যে হত্যা করার পরেও নিজের পরিবারের সাথে একটি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু আমার পরিবার কখনো আর স্বাভাবিক হতে পারেনি। সেই উপায় ছিল না। তিনি আরো বলেছেন, আমার নিজের মেয়ের দেহ যে বিশ্রীভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়েছিল, তার লাশ শানাক্ত করার সেই মুহূর্তটা আমি ভুলতে পারি না। সেই দৃশ্যটা বারবার আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে, মন থেকে এটা সরতে চায় না। সে নিশ্চয়ই ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। য়েন্ডি নিলের মা পামেলা বলেন, আমার মেয়ে সবার ব্যাপারে খুবই চিন্তাশীল ছিল। সে যে কারো জন্য ভালো কিছু করতে পারে। তাকে হারিয়ে আমরা আমাদের বাকি জীবনে আরামের সাথে আর কিছু করতে পারি না। তাকে ছাড়া আমরা কোনো মতে বেঁচে আছি। নিউজউইক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন