ইনকিলাব ডেস্ক : চীনে নানা ধরনের দুর্নীতির অপরাধে গত তিন বছরে ১০ লক্ষেরও বেশি সরকারি কর্মকর্তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। এই তিন বছরে অপরাধে অভিযুক্ত ৪০৯ জন পলাতককে আটক করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা বলছেন। ঘুষ গ্রহণ এবং স্বজনপ্রীতির মত দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যেমন নিম্নপদস্থ কর্মকর্তা রয়েছেন, তেমনি মন্ত্রিসভার সদস্যের মত ক্ষমতাধর ব্যক্তিরাও রয়েছেন। বেইজিং-এ চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী প্লেনাম বৈঠকের আগে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয় বলে খবরে বলা হয়।
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দুর্নীতি-বিরোধী ব্যাপক এক অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তবে কোনো কোনো বিশ্লেষক বলছেন, প্রেসিডেন্ট শি তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে এই অভিযানকে ব্যবহার করছেন। তবে তিনি এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন। বেইজিং-এ সাংবাদিক স্টিভেন ম্যাকডনেল বলছেন, কমিউনিস্ট পার্টির বৈঠকে দলের নিয়মকানুনে সম্ভাব্য পরিবর্তন নিয়ে আলাপ-আলোচনা করা হচ্ছে। তবে এসব পরিবর্তনের ফলে প্রেসিডেন্ট শির ক্ষমতা আরো বেড়ে যেতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এর আগে অপর এক খবরে বলা হয়, ২০১৫ সালে দুর্নীতির দায়ে প্রায় ৩ লাখ সরকারি কর্মকর্তাকে সাজা দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে এক লাখ সরকারি কর্মকর্তাকে চরম সাজা দেওয়া হয়েছে। বাকি প্রায় দুই লাখ কর্মকর্তাকে অপেক্ষাকৃত কম সাজা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে আরো ৮০ হাজার সরকারি কর্মকর্তার নাম দুর্নীতির তালিকায় রাখা হয়েছে। এদের সাজা ধারাবাহিকভাবে দেওয়া হবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ক্ষমতায় এসেই দুর্নীতি বিরোধী অভিযান শুরু করে। চীনা প্রেসিডেন্টের অন্যতম এজেন্ডা ছিল দুর্নীতি দমন করা। আর অভিযানে এসব দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তাদের নাম একে একে উঠে আসে। সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে বহু উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাও ফেঁসে গেছেন। অনেক কর্মকর্তার জেল জরিমানাও হয়েছে। বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন