বিশেষজ্ঞদের মতে প্রত্যেকদিন ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম একান্তই প্রয়োজন। এর থেকে বেশি বা কম ঘুম ক্ষতি করে শরীরের। অথচ প্রাত্যহিক জীবনে কর্মব্যস্ততা বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে ঘুমের পরিমাণ। দেখা যায় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই প্রবণতা অনেক বেশি। কখনও কাজের সূত্রে, কখনও মোবাইল বা ল্যাপটপ ঘাঁটতে ঘাঁটতে অনেকটাই রাত গড়িয়ে যায়। কিন্তু পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব ডেকে আনতে পারে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, পরকিনসন্সের মতো রোগ, এমনকি ক্যানসারও।
শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যেও মারাত্মক ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে ঘুমের অভাব। ঘুম কম হলে চাপ বাড়ে মনের ওপর। আবার মানসিক চাপ বেশি থাকলে ঘুম আসতে চায় না। চক্রাকার এই ঘটনায় কুপ্রভাব পড়ে যৌন জীবনেও।
ঘুম না এলে মেনে চলতে পারেন সহজ কিছু উপায়:
১। ক্যাফিন রয়েছে, এমন পানীয় এড়িয়ে চলুন সন্ধ্যার পর থেকে। ক্যাফিন উত্তেজিত করে স্নায়ুকে, যার প্রভাবে ঘুম আসতে চায় না সহজে। ক্যাফিন-যুক্ত পানির প্রভাব থাকতে পারে প্রায় ছয় ঘণ্টা।
২। ভারী খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমোতে যাওয়া খুব খারাপ একটি অভ্যাস। নৈশভোজ ও ঘুমের মধ্যে কিছুটা সময়ের ব্যবধান থাকা অত্যন্ত জরুরি। রাতের খাবার ভূরিভোজ না হওয়াই ভালো। বেশি খেয়ে ততক্ষণাৎ বিছানায় গেলে পরিপাকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যা বিঘ্ন ঘটায় ঘুমে।
৩। বিশেষজ্ঞদের মতে আমাদের শরীর ঘড়ির কাঁটার মতো নিয়ম মেনে চলে। একে 'জৈব ঘড়ি' বলে। রোজ একই সময় ঘুমোতে যাওয়া ও একই সময় ঘুম থেকে ওঠা শরীরকে একটি জৈবিক বার্তা দেয়। যা আপনার রোজকার ঘুমের উন্নতিতে সাহায্য করতে পারে।
৪। অনেকেই মানসিক ও শারীরিক চাপ কমানোর জন্য ঘুমানোর আগে নিয়মিত মদ্যপান করেন। কিন্তু এতে লাভের বদলে ক্ষতিই বেশি বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। তার বদলে গরম জলে স্নান বা ধ্যান করার মতো অভ্যাস রপ্ত করতে পারলে অনেক বেশি উপকার।
৫। শুতে যাওয়ার আগে বই পড়া একটি অত্যন্ত ভালো অভ্যাস। তবে মোবাইল, ট্যাবলেট বা কম্পিউটারে বই পড়ার ফল কিন্তু সম্পূর্ণ বিপরীত। কিন্তু মনে রাখবেন, ঘুম না আসা যদি অসুস্থতার পর্যায়ে পৌঁছে যায় তবে তাকে 'ইনসমনিয়া' বলে, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন