প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে নতুন একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও জাপান। বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। বুধবার (৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
এর আগে করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক ধরন ওমিক্রনের কারণে বিশ্বব্যাপী সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে পূর্বনির্ধারিত সফর বাতিল করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। আর এ কারণেই ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, বৃহস্পতিবার উভয় নেতা রেসিপ্রোকাল অ্যাকসেস এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করবেন। আর এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কাঠামোগত ভাবে দুই দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী একে অপরকে সহযোগিতা করতে পারবে।
এক বিবৃতিতে স্কট মরিসন বলেন, ‘নিরাপদ এবং স্থিতিশীল প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিশ্চিতে অবদান রাখতে এবং উভয় দেশের কৌশলগত নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলো পূরণে অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের যে অঙ্গীকার রয়েছে, এই চুক্তি হবে সেই অঙ্গীকারেরই একটি ঘোষণা।’
নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষরের পাশাপাশি বৃহস্পতিবারের বৈঠকে জ্বালানি, গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি এবং সংশ্লিষ্টখাতে ব্যবসায়িক অংশীদার ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতেও আলোচনা করবে জাপান ও অস্ট্রেলিয়া।
এর আগে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। বেইজিংকে ঠেকানোই সেই চুক্তির প্রধান উদ্দেশ্য হলেও সেসময় অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং তৎকালীন জাপানি প্রধানমন্ত্রী সুগা চীনের নাম নেননি।
বছর দেড়েক আগের সেই চুক্তিতে জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সেনাবাহিনীকে একে অপরের সামরিক ঘাঁটিতে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এর ফলে সামরিক মহড়া ও কোনো বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রে সহায়তা অনেকটাই বাড়বে বলে সেসময় দাবি করেছিলেন উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী। সূত্র : রয়টার্স
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন