নির্বাচন কমিশনের গঠনের লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদের সঙ্গে চলমান সংলাপে অংশ নেবে না জেএসডি। দলটির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেছেন, শুধুমাত্র ‘নির্বাচন কমিশন’ গঠন নিরপেক্ষ অবাধ নির্বাচনের জন্য কোনো গ্যারান্টি বা সমাধান নয়। তাই বাস্তবতার প্রেক্ষিতে মহামান্য প্রেসিডেন্টের সংলাপে জেএসডি অংশগ্রহণ করছে না। তার আগে এই সংলাপে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দেয় আরও কয়েকটি দল।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) উত্তরায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। রব বলেন, সংলাপ নির্বাচন কমিশন নিয়ে নয়, সংলাপ হতে হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘জাতীয় সরকার’ গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের গ্যারান্টি এখন অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আমরা ‘জাতীয় সরকার’-এর প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছি। তার দাবি, নির্বাচন প্রশ্নে প্রেসিডেন্ট, সরকার, নির্বাচন কমিশন সবাই সংবিধান লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত। যারা সংবিধান লঙ্ঘনকারী তাদের অবশ্যই জাতির কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চাওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, বিদ্যমান নির্বাচন কমিশন বর্তমান প্রেসিডেন্ট কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত। কিন্তু এ কমিশন চরম পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংসের মাধ্যমে ‘দিনের ভোট রাতে’ সম্পন্ন করে সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বপ্নকে বধ্যভূমিতে পরিণত করেছে এবং সমগ্র জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অপসারণ চেয়ে দেশের বিশিষ্ট ৪২ জন নাগরিক ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্টকে চিঠি দিয়েছে উল্লেখ করে রব বলেন, ‘চিঠিতে কমিশনের বিরুদ্ধে গুরুতর আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়ম এবং বিভিন্নভাবে আইন ও বিধি বিধান লংঘন করার গুরুতর অসদাচরণের চিহ্নিত ক্ষেত্রের বিস্তারিত বিবরণ যুক্ত ছিল। গুরুতর অসদাচরণ ও অনিয়মে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় সংস্থা কর্তৃক প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে এবং প্রমাণ সাপেক্ষে তদন্তের জন্য সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ মোতাবেক প্রেসিডেন্টকে ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল’ কাউন্সিলে পাঠানোর বিনীত অনুরোধও জানিয়েছিলেন তারা। তারপরও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কমিশনের গুরুতর অসদাচরণের তদন্ত করার ক্ষেত্রে সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতা প্রয়োগ করেননি। বরং প্রেসিডেন্ট সাংবিধানিক ও নৈতিক দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থেকে নির্বাচন কমিশনকে দায়মুক্তি দিয়েছেন, যা সংবিধান লঙ্ঘনের নামান্তর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন