২০২১ সালে নিকারাগুয়ার রেকর্ড সংখ্যক মানুষ প্রতিবেশী দেশ কোস্টারিকায় আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার কোস্টারিকার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, ২০২১ সালে নিকারাগুয়া থেকে কোস্টারিকায় আশ্রয়ের জন্য আবেদন জমা পড়েছে ৫৩ হাজার। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকা নিকারাগুয়ান প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগার বিরোধীদের ব্যাপক ধরপাকড় চালানো ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গতবছর এত সংখ্যক মানুষ আশ্রয় চেয়েছেন। ২০২১ সালের নভেম্বরে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক দমন-পীড়নের অভিযোগ পাওয়া যায়। কোস্টারিকার মাইগ্রেশন এজেন্সির উপ-পরিচালক দাগুয়ের হার্নান্দেজ জানান, নিকারাগুয়া থেকে ২০২১ সালে ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আশ্রয় প্রার্থীর আবেদনপত্র জমা পড়েছে। তিনি আরও বলেন, আশির দশকের যুদ্ধের পর এটি আকস্মিকভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যদিও সে সময়কার তথ্য-উপাত্ত তাদের কাছে এখন নেই। এদিকে, বিষয়টি নিয়ে নিকারাগুয়ার সরকারের তরফ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সরকার বিরোধী বিক্ষোভ এবং পরবর্তীতে দমন-পীড়নের জেরে ২০১৯ সালে দেশটির ৩১ হাজার ছয়শ মানুষ কোস্টারিকার আশ্রয় চেয়েছিলেন। মহামারির মধ্যে আশ্রয় চাওয়ার সংখ্যা হৃাস পেয়েছিল। কিন্তু ২০২১ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হন ডেনিয়েল ওর্তেগা। সমালোচকরা সেই নির্বাচন সম্পর্কে বলেন, ভোটের আগে শক্তিশালী সব প্রতিদ্বন্দ্বীকে জেলে ঢুকিয়ে ও নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে ওর্তেগা নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতাকে আগেই প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটসের প্রতিনিধিদের নিকারাগুয়ার এবারের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে অনুমতি দেওয়া হয়নি। এমনকি দেশটিতে ঢোকার অনুমতি পায়নি বিদেশি সাংবাদিকরা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭ সদস্য দেশ এক বিবৃতিতে জানায়, এ নির্বাচনের মাধ্যমে নিকারাগুয়ার ‘স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রূপান্তর’ হলো। কোস্টারিকা যেতে ৩১ বছর বয়সী এক আবেদনকারী বলেন, বিরোধী দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে আন্দোলন করার কারণে তাকে আটক করা হয়েছিল। তিনি বলেন, কোস্টারিকা যাওয়া খুব কঠিন এবং খরচও ব্যয়বহুল কিন্তু এটি দরকার। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন