প্রকাশ্যে তালেবান শাসনের বিরোধিতা করার অপরাধে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদকে গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেল তালেবান।
অধ্যাপক ফৈজুল্লাহ জালাল। আফগানিস্তানে তালেবান আবার ক্ষমতাদখলের পর থেকে এই বিশিষ্ট অধ্যাপক সামাজিক মাধ্যমে তালেবান শাসনের সমালোচনা করছিলেন। তালেবানের মুখপাত্র জবিদুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, জালাল মানুষকে তালেবানি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে উসকাচ্ছিলেন এবং তিনি মানুষের মর্যাদাহানি করছিলেন। জালাল সামাজিক মাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য করেছেন।
তার স্ত্রী ফেসবুক পোস্ট করে জানিয়েছেন, অধ্যাপককে তালেবান আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, তার স্বাস্থ্য কেমন আছে, তিনি কীরকম আছেন, কিছুই পরিবার জানে না। কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হলো, তাও সরকারিভাবে জানানো হয়নি। জালালের স্ত্রী অবশ্য দাবি করেছিলেন, ওইসব পোস্ট জাল। জালাল এরকম কোনো পোস্ট করেননি।।
তালেবান মুখপাত্র বলেছেন, জালালকে দেখে অন্যরাও যাতে এই ধরনের কাণ্ডজ্ঞানহীন মন্তব্য না করেন, তা বোঝাতেই অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একজন অধ্যাপক, শিক্ষাবিদ এরকম মন্তব্য করলে অন্যদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হতে বাধ্য।
জালাল কট্টর তলেবান-বিরোধী। তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এবং আশরাফ গনিকে নিয়েও তিনি খোলাখুলি নিজের মত জানিয়েছেন।
২০২১ সালের নভেম্বরে তালেবান মুখপাত্র মহম্মদ নইমের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়ে পড়েন জালাল। দুজনেই একটি টিভি বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি তালেবানের নীতির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি তালেবানের মুখপাত্রকে 'বাছুর' বলেও সম্বোধন করেন।
তালেবান-বিরোধীরা জালালের সাহস ও খোলাখুলি কথা বলার ক্ষমতার প্রশংসা করেন। অনেকে তাদের সামাজিক মধ্যমে প্রোফাইল পিকচারে জালালের ছবিও রেখেছেন। সূত্র: এএফপি, ডিপিএ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন