ইনকিলাব : যৌন হয়রানির অভিযোগ পিছু ছাড়ছে না যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের। অভিযোগকারীদের তালিকায় আছেন পর্নো অভিনেত্রী থেকে শুরু করে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী, এমনকি বিমানকর্মীও। সর্বশেষ এ তালিকায় যুক্ত হলেন সাবেক মিস ফিনল্যান্ড নিননি লাকসোনেন। মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার সময় ট্রাম্পের হাতে যৌন হয়রানির শিকার হন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১২ জন নারী আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুললেন। গত শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। ফিনল্যান্ডের পত্রিকা ইলতা-সানোমাতকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন সাবেক মিস ফিনল্যান্ড নিননি লাকসোনেন। তিনি বলেন, ২০০৬ সালে ডেভিড লেটারম্যানের সঙ্গে দ্য লেট শো নামের একটি টকশোতে উপস্থিত হওয়ার আগে তিনি ট্রাম্পের যৌন হয়রানির শিকার হন। নিননি লাকসোনেন-এর ভাষায়, ওই অনুষ্ঠানের আগে আমরা ভবনের বাইরে ছবি তুলছিলাম। ডোনাল্ড ট্রাম্প আমার পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন। হঠাৎ করেই তিনি আমার নিতম্বে চাপ দেন। তিনি বুঝে শুনেই এই কাজ করেন। আমার মনে হয়নি কেউ সেটি দেখেছিল, তবে আমার বেশ লজ্জা লাগছিল। কী ঘটতে যাচ্ছে, সেটাই ভাবছিলাম। সাবেক এই মিস ফিনল্যান্ড বলেন, সেদিনের ঘটনার পর অন্য এক অনুষ্ঠানে তাকে বলা হয়, ট্রাম্প তাকে বেশ পছন্দ করেন। তাকে দেখলে ট্রাম্পের তার স্ত্রী মেলানিয়ার কথা মনে হয়। কথাটি শুনে আমি বেশ বিরক্ত হয়েছিলাম। এর আগে সর্বশেষ ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলেন মার্কিন পর্নো অভিনেত্রী জেসিকা ড্রেক। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। জেসিকা ড্রেক বলেন, ২০০৬ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার লেক টাহোতে একটি গলফ খেলার মাঠে ট্রাম্পের সঙ্গে তার দেখা হয়। সেখানে ট্রাম্প তাকে হোটেলকক্ষে আমন্ত্রণ জানান। সে অনুযায়ী তিনি আরও দুজন নারীর সঙ্গে হোটেলকক্ষে যান। সেখানে পৌঁছানোর পর ট্রাম্প তাদের প্রত্যেককে জড়িয়ে ধরে চুমু খান। জানতে চান, পর্নো মুভিতে অভিনয় করতে কেমন লাগে। সেখান থেকে চলে আসার পর ট্রাম্প তাকে ফোন করে বলেন, তুমি কী চাও? কত চাও? গার্ডিয়ান, ওয়েবসাইট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন