শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

৭৪ বছর পর দেশভাগে বিচ্ছিন্ন হওয়া দুই ভাই হাবীব ও সিদ্দিকের দেখা

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০২২, ১০:১৪ পিএম

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে লেখা হলো এক নতুন গাথা। তবে তা বিচ্ছেদের নয়, মিলনের। ৭৪ বছর বিচ্ছেদে থাকা দুই ভাই একে অপরকে ছুঁয়ে দেখলেন। জড়িয়ে ধরলেন। মশগুল হলেন ছোটবেলার গল্পে। ভারত ও পাকিস্তানের কাঁটা তারের বেড়ায় বিচ্ছিন্ন হয়েছেন বহু মানুষ। বিচ্ছিন্ন হয়েছেন বহু ভাই। এমনই দুই ভাই সিদ্দিক ও হাবিব। -খাস খবর

দেশভাগের সময় ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত বহুবার দেখেছে বিচ্ছেদের যন্ত্রণা। তবে এবার সেই সীমানায় কার্তারপুর দেখল বিচ্ছেদ কাটিয়ে পুর্নমিলনের আনন্দাশ্রু! এই ঘটনা হাবিব ও সিদ্দিকের। যে দুইভাইকে বিচ্ছিন্ন করেছিল ১৯৪৭ সালের দেশভাগ। ১৯৪৭ থেকে ২০২১। দেশভাগের কাঁটা তারের বেড়ায় বিচ্ছিন্ন হয়েছেন ততদিনে বহু মানুষ। বিচ্ছিন্ন হয়েছে বহু ভাই। এমনই দুই ভাই সিদ্দিক ও হাবিব। বর্তমানে সিদ্দিক পাকিস্তানের ফৈজলাবাদের বাসিন্দা। আর হাবিব থাকেন ভারতের পাঞ্জাবের ফুল্লানওয়ালে।

দুই ভাই ৭৪ বছর পর একে অপরকে জড়িয়ে ধরলেন কার্তারপুর করিডরে। ভারত-পাক সীমান্ত লাগোয়া পাকিস্তানের গুরু দরবার সাহিবে এই মিলন দৃশ্য ততক্ষণে আনন্দাশ্রু এনে দিয়েছে বহুজনের চোখে। জানা যায়, দেশভাগ যখন হয়েছিল, তখন সিদ্দিক খুবই ছোট। সে পাকিস্তানে বড় হতে থাকে। আর বাবার সঙ্গে ভারতের বুকে বেড়ে উঠতে থাকে বড় ভাই হাবিব। ফের একবার ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করে উচ্ছ্বসিত হাবিব ফিরে যান ছোটবেলার কথায়। প্রবীণ এই ভারতীয় প্রশংসা করেন এমন মিলনের নেপথ্যে থাকা উদ্যোগের।

ভাইকে জানান, এই করিডর দিয়েই ফের তারা দেখা করবেন। দুই ভাই ভারত ও পাকিস্তানের সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। ভিসাহীনভাবে এই সাক্ষাতে পাকিস্তান সরকারের অনুমোদনকেও স্বাগত জানান হাবিব। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ৪.৭ কিলোমিটারের কার্তারপুর করিডরকে ফের একবার খুলে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, এরপর করোনার কারণে সেই রাস্তা বন্ধ হয়। আর সেই কার্তারপুরই সাক্ষী রইল এক বিরল দৃশ্যের। যে ভারত-পাক সীমান্ত, বহু রক্তস্নাত অধ্যায়, বহু বিচ্ছেদের আর্তনাদের সাক্ষী, সেই সীমান্তেই আবারও পুর্নমিলনের আনন্দাশ্রু ঝরে পড়ল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
সৈয়দ শিবলী মাহমুদ ১৪ জানুয়ারি, ২০২২, ১১:০৫ পিএম says : 0
ভারতবর্ষকে যারা টুকরো টুকরো করেছেন তাঁদের সবার অপমৃত্যু হয়েছে। বিশ্ব নবী রাসুল হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম এর আদর্শ হৃদয়ে গেঁথে বাস্তবায়ন করতে হবে নইলে জাহান্নামের আগুনে অনন্তকাল জ্বলতে হবে।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন