কলেজের অধ্যাপক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে জারি করা এক সরকারি নির্দেশ ঘিরে ধীরে ধীরে তপ্ত হচ্ছে অধিকৃত কাশ্মীরের রাজনীতি। এর আগে, মকর সংক্রান্তিতে অধ্যাপক ও ছাত্রছাত্রীদের ‘সূর্য নমস্কার’ করার জন্য নির্দেশ আসে ভূস্বর্গের প্রশাসনের তরফে। তবে, এ নির্দেশকে ‘অগণতান্ত্রিক’ আখ্যা দিয়ে সরব হয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরা।
গত শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরে উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে একটি নির্দেশিকায় সংশ্লিষ্ট দফতরের উর্ধতন কর্তা ইয়াসমিন আশাই জম্মু ডিভিশন ও কাশ্মীর ডিভিশনের সব কলেজে বড় আকারে মকর সংক্রান্তির দিন সূর্য নমস্কারের নির্দেশ দেয়া হয়। এ নির্দেশ জম্মু ও কাশ্মীরের কলেজের অধ্যাপক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি দেওয়া হয়। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘২০২২ এর ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির পূণ্যতিথি উদযাপন করতে ভারত সরকার চাইছে আজাদির অমৃত মহোৎসব উদযাপনের আওতায় ‘সূর্য নমস্কার’ করা হোক ভার্চুয়ালভাবে’। ‘জীবনীশক্তিকে উজ্জিবীত করতে সূর্য নমস্কার’ এ সংক্রান্ত ট্যাগ দিয়ে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ ফেটে পড়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ। তিনি একটি টুইটে লেখেন, ‘মুসলিম শিক্ষার্থীদের কেন জোর করা হবে মকর সংক্রান্তিতে যোগ বা এমন কিছু করতে? এ উৎসব উদযাপন করা হবে কি না, তা নির্ধারণ করা ব্যক্তিগত পছন্দের ওপর নির্ভর করে। বিজেপি কি খুশি হবে যদি একই রকমের একটি নির্দেশিকা ঈদের সময় অসমুসলিমদের ওপর আরোপিত হয়’?
ওমর আবদুল্লাহ ছাড়াও জম্মু ও কাশ্মীরের আরো এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও টুইটে এ ইস্যুতে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি লিখেছেন, ‘ভারত সরকারের প্রচারমূলক পদক্ষেপের উদ্দেশ্য কাশ্মীরিদের হেয় করা এবং সম্মিলিতভাবে অপমান করা। অস্বস্তি থাকা সত্তে¡ও শিক্ষার্থীদের ও স্টাফদের সূর্য নমস্কারে বাধ্য করে নির্দেশিকা দেওয়া, তাদের সা¤প্রদায়িক মানসিকতাকে নির্দেশ করে’। এছাড়াও শ্রীনগর শহরের মেয়র ও আপনি পার্টির নেতা জুনেইদ আজিম মাট্টুও এ ইস্যুতে সরব হয়েছেন। তিনি এমন সরকারি নির্দেশকে ‘অগণতান্ত্রিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। এছাড়াও কাশ্মীরের স্থানীয় সংগঠন মুত্তেহিদা-মজলিসে ওলেমা এক বিবৃতি প্রকাশ করে ঘটনার চ‚ড়ান্ত বিরোধিতা করেছেন। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন