বিশ্বজুড়ে কর্মসংস্থান পুনরুদ্ধার বিলম্বের মুখে পড়েছে। মহামারীর গতিপথ ও সময়কাল নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ফলে অন্তত ২০২৩ সাল পর্যন্ত বেকারত্বের হার মহামারীপূর্ব অবস্থায় পৌঁছবে না বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। জাতিসংঘের শ্রম সংস্থা জানিয়েছে, কভিডজনিত অনিশ্চয়তার কারণে বৈশ্বিক চাকরির বাজার পুনরুদ্ধার হতে পূর্বাভাসের চেয়ে আরো বেশি সময় লাগবে। সংস্থাটির হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে প্রাক-কোভিড পর্যায়ের চেয়ে প্রায় ৫ কোটি ২০ লাখ কর্মসংস্থান পিছিয়ে থাকবে। এ সংখ্যা ২০২১ সালের মাঝামাঝিতে দেয়া পূর্বাভাসের চেয়ে দ্বিগুণ। আগামী বছরও এসব প্রতিবন্ধকতা অব্যাহত থাকবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আইএলও। ২০২৩ সালে কর্মসংস্থানের সংখ্যা প্রাক-কোভিডের চেয়ে ২ কোটি ৭০ লাখ পিছিয়ে থাকবে। ২০২২ সালের ওয়ার্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোস্যাল আউটলুক শীর্ষক প্রতিবেদনে সংস্থাটি ধীরগতি ও অনিশ্চিত পুনরুদ্ধারের সতর্কবার্তা দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএলওর শেষ পূর্বাভাসের পর বিশ্বজুড়ে শ্রমবাজারের পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। আগামী কয়েক বছরে কর্মসংস্থানের সংখ্যা প্রাক-কভিড পর্যায়ে ফিরে আসা বেশির ভাগ দেশের জন্য অধরাই থেকে যেতে পারে। সামগ্রিকভাবে চলতি বছর প্রায় ২০ কোটি ৭০ লাখ মানুষ বেকার থাকবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। তবে প্রভাবটি উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি হবে। কারণ অনেক লোক শ্রমশক্তি ছেড়েছে এবং এখনো ফিরে আসতে পারেনি। ২০২১ সালে প্রাক-কভিড পর্যায়ের তুলনায় প্রায় ১২ কোটি ৫০ লাখ কর্মসংস্থান কম ছিল। যেখানে ২০২০ সালে পিছিয়ে থাকার এ সংখ্যা ছিল ২৫ কোটি ৮০ লাখ। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন