শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বিক্ষোভে উত্তাল ইউরোপ রণক্ষেত্র বেলজিয়াম

টিকা বাধ্যতামূলক করায় ওয়াশিংটনে হাজারো লোকের সমাবেশ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০১ এএম

বিক্ষোভ-প্রতিবাদ থামছে না ইউরোপে। মূলতঃ কোভিড মোকাবেলায় আরোপিত কড়াকড়ি-বিধিনিষেধ মানতে নারাজ লাখো মানুষ। রোববারও, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসে ছড়ায় সহিংসতা। আটক হন বহু মানুষ। এরই মাঝে মধ্যরাত থেকে অস্ট্রিয়ায় শুরু হলো সর্বাত্মক লকডাউন। চতুর্থবারের মতো এমন সিদ্ধান্ত দেশটির। করোনা শিষ্টাচার বিরোধী আন্দোলনে রীতিমতো রণক্ষেত্র বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস। রোববারের সহিংসতায় পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন। ধরপাকড়ের শিকার হয়েছেন অন্তত ৬০ বিক্ষোভকারী। প্রশাসন জানায়, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজপথে নামেন অর্ধ-লক্ষের বেশি নাগরিক। তারা ইইউ সদর দফতরসহ অন্যান্য সরকারি স্থাপনা ঘেরাও করে। জোরপূর্বক সেখানে ঢুকতে চাইলে, নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘাত হয়। রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস এবং পানি কামান ব্যবহার করে ঠেকানো হয়, জনস্রোত। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, টিকা গ্রহণের অজুহাতে তাদের ব্ল্যাকমেইল করছে সরকার। গত সপ্তাহেই ঘোষণা আসে, বাধ্যতামূলক বুস্টার ডোজ না নিলে সিনেমা হল, রেস্টুরেন্ট ও পানশালায় ঢুকতে পারবেন না প্রাপ্তবয়স্করা। যাকে, বিক্ষোভকারীরা মানবাধিকার লংঘনের সাথে তুলনা করছেন। অপর এক খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে রোববার কোভিড-১৯ এর টিকা বাধ্যতামূলক করার প্রতিবাদে হাজার হাজার লোক বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। তারা স্বাধীনতা দাবি করে টিকা নেয়ার বাধ্যতামূলক নীতিকে অত্যাচার হিসেবে উল্লেখ করেছে। সমাবেশে বক্তারা কোভিড টিকার বাধ্যতামূলক নীতির বিরুদ্ধে একের পর এক বক্তৃতা দেয়। কেউ কেউ একে হলোকাস্টের সাথে তুলনা করে। আবার কোনো বক্তা বলেছে, স্বাধীনতা ও বাধ্য করার নীতি একসাথে যায় না। আরো এক বক্তা বলেছে, বাধ্য করার নীতি যথাযথ নয়। টিকা কাজ করছে না। টিকা সম্পর্কে আমাদের মিথ্যা বলা হয়েছে। সমাবেশে অনেককে দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিরোধী পোস্টার বহন করতে দেখা গেছে। এছাড়া কারো কারো হাতে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামে পতাকা ছিল। সমাবেশে আরো এক বক্তা বলেছে, টিকা সাধারণত চমৎকার। এটি লাখ লাখ লোকের জীবন বাঁচাচ্ছে। কিন্তু বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। সিএনবিসি, বিবিসি, রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন