নয় নয় করে এক যুগেরও বেশি সময় ঘাম ঝড়িয়ে অবশেষে অবসর নিতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্টের দেহরক্ষী (পিবিজি) টগবগে ঘোড়া বিরাট। ভারতের ৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজই ছিল শেষ ‘কাজের’ দিন। লাস্ট ল্যাপে ভারতের প্রধানমন্ত্রী রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পিঠ চাপড়ানির মধ্যে দিয়েই আস্তাবলে ফিরে গেল সে।
প্রেসিডেন্টের দেহরক্ষার কাজ নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে কুলীন গোত্রের। সেই কাজে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে নিয়োজিত ছিল হ্যানোভারিয়ান প্রজাতির বাদামি রঙের তেজিয়ান বিরাট। বিগত এক দশক ধরে বিরাট প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রেসিডেন্টের কনভয়ে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছে।
বিরাট প্রেসিডেন্টের দেহরক্ষীর কুলীন পরিবারের অন্তর্ভুক্ত হয় ২০০৩ সালে। এই গোত্রের আর পাঁচটি ঘোড়ার সঙ্গে বিরাটের মূল তফাৎ তার গঠন ও চেহারার ঔজ্জ্বল্যে। স্বভাবে শান্ত বিরাট এত দিন দেশের শ্রেষ্ঠ নিরাপত্তা বাহিনীর অংশ হিসেবে কাজ করেছে।
পিবিজি-তে মোট ২০০ কুলীন গোত্রের ঘোড়া রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম সেরা বিরাট। এক যুগেরও বেশি সময় নিরন্তর নিজ দায়িত্ব পালনের পর অবশেষে অবসরে সে। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে রাজপথে বিরাটের বিদায়বেলায় প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে দেখা যায় সস্নেহে বিরাটের পিঠ চাপড়ে দিতে।
শেষ দিনের কাজে বিরাটে সওয়ার হয়েছিলেন পিবিজি-র কর্নেল অনুপ তিওয়ারি। কুচকাওয়াজ শেষে তার সঙ্গেই শেষবারের মতো রাজপথ পেরিয়ে বিরাট ফিরে যায় আস্তাবলে। এ বার অখণ্ড অবসর। সূত্র: এবিপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন