শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

রাশিয়ার জন্য লিখিত প্রস্তাবনা করছে ন্যাটো

উদ্বেগ প্রশমনে কাতার আমিরের সঙ্গে বৈঠক করবেন বাইডেন আক্রমণ করলেই পুতিনের ওপর ব্যক্তিগত নিষেধাজ্ঞা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৪ এএম

ইউক্রেন ইস্যুতে খোদ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করলে পুতিনের ওপর ব্যক্তিগত নিষেধাজ্ঞার কথা বিবেচনা করবে হোয়াইট হাউস। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন মোকাবিলায় পশ্চিমা দুনিয়ার ক্রমবর্ধমান সামরিক প্রস্তুতির মধ্যেই এমন মন্তব্য করলেন বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়া যদি লাখখানেক সেনা নিয়ে ইউক্রেনের দিকে অগ্রসর হয় তাহলে এটি হবে ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় আক্রমণ’ এবং এটি ‘বিশ্বকে বদলে দেবে।’ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাইডেনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে তিনি সরাসরি পুতিনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন কিনা? উত্তরে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ। আমি সেটা দেখবো।’ এর আগে ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনাদের জড়ো হওয়ার খবর পাওয়ার পরপরই পূর্ব ইউরোপে সম্ভাব্য মোতায়েনের জন্য প্রায় সাড়ে আট হাজার মার্কিন সেনাকে সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেয় বাইডেন প্রশাসন। খবরে বলা হয়, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েন নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছেই। এর মধ্যেই এই সপ্তাহের শেষের দিকে ক্রেমলিনের কাছে একটি লিখিত প্রস্তাবনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাটো। মঙ্গলবার সিএনএন-এর সঙ্গে আলাপকালে ন্যাটো মহাসচিব জিন্স স্টোলটেনবার্গ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা রূপরেখা দেবো যে, আমরা বসতে প্রস্তুত। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, নিরস্ত্রীকরণ, সামরিক কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা, ঝুঁকি হ্রাস প্রক্রিয়া এবং ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য ন্যাটো প্রস্তুত রয়েছে। আমরা আলোচনার টেবিলে বসে রাশিয়ার উদ্বেগের কথা শুনতে প্রস্তুত রয়েছি।’ জিন্স স্টোলটেনবার্গ বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটে এখনও কূটনৈতিক উপায় রয়েছে। কিন্তু তার জন্য রাশিয়াকে উত্তেজনা প্রশমন করে, সদিচ্ছা নিয়ে ন্যাটো এবং ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনায় যুক্ত হতে হবে। তিনি বলেন, ন্যাটো ইউক্রেনে কমব্যাট ফোর্স মোতায়েন করবে না। তবে সব মিত্রদের, বিশেষ করে পূর্ব ইউরোপের মিত্রদের রক্ষায় আমরা বদ্ধপরিকর। ন্যাটো মহাসচিব এমন সময়ে এ মন্তব্য করলেন যার একদিন আগেই খবর এসেছে, পশ্চিমা এই সামরিক জোটের কিছু সদস্য দেশ পূর্ব ইউরোপে অতিরিক্ত জাহাজ ও যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে। অন্যদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে খোদ রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়া যদি লাখখানেক সেনা নিয়ে ইউক্রেনের দিকে অগ্রসর হয় তাহলে এটি হবে ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় আক্রমণ’ এবং এটি ‘বিশ্বকে বদলে দেবে।’ এর আগে ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনাদের জড়ো হওয়ার খবর পাওয়ার পরপরই পূর্ব ইউরোপে সম্ভাব্য মোতায়েনের জন্য প্রায় সাড়ে আট হাজার মার্কিন সেনাকে সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেয় বাইডেন প্রশাসন। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাইডেনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে তিনি সরাসরি পুতিনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন কিনা? উত্তরে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ। আমি সেটা দেখবো।’ অপর দিকে, ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা দুনিয়ার উত্তেজনার ফলে ইউরোপে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। মস্কো শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনে আগ্রাসন চালালে এর পরিণতিতে যেন ইউরোপ এই গ্যাসের সংকটে না পড়ে সেজন্য এরইমধ্যে কাতারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী সোমবার হোয়াইট হাউসে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এপি। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি জানিয়েছেন, দুই নেতার বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা, বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহের স্থিতিশীলতা এবং আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কাতার বিশ্বে এলএনজি-র সবচেয়ে বড় সরবরাহকারীদের মধ্যে একটি। ইউক্রেনে শেষ পর্যন্ত রাশিয়া আগ্রাসন চালালে ইউরোপের জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে কয়েকটি দেশের ওপর নির্ভর করছে তাদের একটি কাতার। মস্কোর পক্ষ থেকে ইউক্রেনে হামলা চালানোর পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করা হলেও যুক্তরাষ্ট্রের শঙ্কা, ইউক্রেনে সামরিক আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার গ্যাস সরবরাহের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের জন্যই রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। যে কোনও সংঘাতের ফলশ্রুতিতে যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলে সেই সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হতে পারে। তবে সূত্র বলছে, ‘সংঘাত বা নিষেধাজ্ঞার কারণে যদি জ্বালানির ঘাটতি হয় তবে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’ সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে জো বাইডেন বলেছেন, পশ্চিমের ‘পরীক্ষা’ নিতে গেলে রুশ নেতাকে ‘চরম মূল্য’ দিতে হবে। রয়টার্স, বিবিসি, এপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
Kazi Bablu ২৭ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:৩৯ এএম says : 0
আমেরিকা একা লড়ে দেখুন রাশিয়ার সঙ্গে তাহলে বিশ্ব দেখবে কে সুপার পাওয়ার। কিন্তু ইউরোপকে নিয়ে দল বেদে একমাত্র রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করতে এশিয়ার তেল,গ্যাস সমৃদ্ধ দেশ গুলোকে চুষে খাবার পলিসি আটচে।নিজের জুজুর ভয় অন্যের কাঁধে দিতে পারদর্শী। আবার নিজেকে দাবি করে সুপার পাওয়ার। লজ্জা, লজ্জা।
Total Reply(0)
Iham Iham ২৭ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:৪০ এএম says : 0
আমেরিকা ইরাক আফগান ইরান ফিলিস্তিন সিরিয়া তে হামলা চালায় যখন তখন নিষেধাজ্ঞা থাকে কই?
Total Reply(0)
Abir Hasan ২৭ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:৪০ এএম says : 0
আমি চাই একটা যুদ্ধ হক, যুদ্ধের একটা বাস্তব অভিজ্ঞতা হবে। শুধু তো বইয়েই পড়লাম,
Total Reply(0)
ফয়েজ ভূইয়ার বাড়ি ২৭ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:৪১ এএম says : 0
রাশিয়া উচিত যুদ্ধ করা।
Total Reply(0)
মোঃ সবুজ ২৭ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:৪২ এএম says : 0
আলোচনার প্রস্তাব কেন হামলা কর,লিবিয়ারে কি আলোচনার প্রস্তাব দিছিলা ইতরের দল
Total Reply(0)
Hawlader Nur Islam ২৭ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:৪২ এএম says : 0
রাসিয়া জন্য শুবকামনা রইরো
Total Reply(0)
তালহা বিন মাহমুদ ২৭ জানুয়ারি, ২০২২, ২:১৮ পিএম says : 0
কাফেররা একে অপরের সাথে কোন সময় যুদ্ধ করবে না মুসলমান হলে ঠিকই যুদ্ধ করত।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন