ফুল মানেই সুন্দর। আর গোলাপকে বলা হয় ফুলের রানি। সৌন্দর্যের উপমা দিতে বরাবরই ব্যবহার করা হয় গোলাপ ফুলের নাম। একগুচ্ছ গোলাপ দিয়ে শুরু হতে পারে একটি সুন্দর সম্পর্কের। এই ফুলের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে অনেক আবেগ, অনেক ভালোবাসা। মিষ্টি গন্ধের এই ফুল যেকোনো নারীর সাজকেই অনন্য করে তোলে। এর আরেকটি ভালো দিক হলো, গোলাপের পাপড়ি আপনি ব্যবহার করতে পারবেন রূপচর্চার কাজেও। জেনে নিন ত্বকের যত্নে কীভাবে ব্যবহার করবেন গোলাপের পাপড়ি-
কোমল ত্বক পেতে
ত্বক কোমল করতে গোলাপের পাপড়ি বেশ কার্যকরী। ২ কাপ পানিতে একটি তাজা গোলাপ ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে উঠে সেই গোলাপ ভিজিয়ে রাখা পানিতে মুখ ধুয়ে নেবেন। এটি ছাড়া আরেক উপায়েও ত্বক কোমল করতে পারেন। গোলাপের শুকনা পাপড়ি, সমপরিমাণ মধু ও দুধ মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্রণের জায়গায় লাগিয়ে নিন। সকালে উঠে ধুয়ে নেবেন। এতে ব্রণ দূর হওয়ার পাশাপাশি ত্বকও হবে কোমল।
ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহার
গোলাপের নিজস্ব একটি মিষ্টি গন্ধ রয়েছে। এটি প্রাকৃতিক উপায়ে আমাদের পরিষ্কার করতে পারে। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস উপাদান ত্বকে থাকা জীবাণু ধ্বংস করতে পারে। ন্যাচারাল ক্লিনজার তৈরির জন্য শুকনা গোলাপের পাপড়ি গুঁড়া করে নিতে হবে। এরপর ১ টেবিল চামচ গোলাপের পাপড়ি গুঁড়া পানির সঙ্গে মিশিয়ে ক্লিনজার তৈরি করে নিতে হবে। আপনি যদি গোলাপের পাপড়ির মাস্ক তৈরি করতে চান তবে শুকনা গোলাপের কুড়ি গুঁড়া করে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। মুখে মেখে অপেক্ষা করুন ১৫ মিনিট। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে নেবেন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
টোনার হিসেবে ব্যবহার
যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের জন্য টোনার হিসেবে কাজ করতে পারে গোলাপের পাপড়ি। ১ কাপ পানি ফুটিয়ে নিন। এবার তার মধ্যে এক মুঠো গোলাপের কুঁড়ি দিয়ে পাত্রটি ঢেকে দিন। এভাবে রেখে দিন আধাঘণ্টা। মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে গেলে তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা রোজ এসেন্সিয়াল অয়েল দিন। এবার মিশ্রণটি একটি পরিষ্কার স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। মুখ পরিষ্কার করার পর এই মিশ্রণ টোনার হিসেবে মুখে স্প্রে করে নেবেন।
প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার
স্পর্শকাতর ও শুষ্ক ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার হিসেবে দারুণ কাজ করে গোলাপের পাপড়ি। এতে থাকা ন্যাচারাল অয়েল স্কিন সেলের মধ্যে ময়েশ্চার ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক ভেতর থেকে আর্দ্র থাকে। ময়েশ্চারাইজার তৈরি করার জন্য লাগবে গোলাপ জল, মধু, শিয়া বাটার ও পছন্দ মতো কয়েকটি এসেন্সিয়াল অয়েল। সবগুলো উপাদান ব্লেন্ড করে নেবেন। এতে সিল্কি স্মুদ সাদা ক্রিমের মতো তৈরি হবে। ক্রিমটুকু একটি পরিষ্কার কৌটোয় ভরে রাখুন। ত্বকের দাগ-ছোপ দূর করতেও এই ক্রিম কার্যকরী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন