শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মেটাভার্সে ভার্চুয়ালি গণধর্ষণের শিকার ভারতীয় মহিলা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৪ এএম

ইউনিভার্সের ভার্স ও মেটা অর্থাৎ অন্তহীনতার প্রতীকী হিসেবে মেটা ও ভার্সের মিলনে তৈরি হয়েছে মেটাভার্স। এমন এক ভার্চুয়াল দুনিয়া, যেখানে আপনি নন, বরং আপনার ‘অবতার’ থাকবে, কাজ করবে, খেলবে, থাকবে। একইসঙ্গে ভার্চুয়াল জগতের যে কোনও শহর, গ্রাম বা ক্যাফেটেরিয়া মতো ভার্চুয়াল জায়গায় ভ্রমণ করা যাবে। কোনও ঘটনা সত্যিকারের না হলেও, এক অবাস্তব ‘বাস্তব’ থাকবে সেখানে। সেই মেটাভার্সের ভার্চুয়াল দুনিয়াতেই এবার গা শিউড়ে ওঠার মতো ঘটনা। লন্ডনের এক মহিলার অভিযোগ, মেটাভার্সে লগ ইন করার ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে একাধিক পুরুষ ব্যবহারকারী তার ‘গণধর্ষণ’ করেছে।
নিজে ব্লগ পোস্ট করে এমন ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন ওই মহিলা, যা প্রশ্ন তুলেছে মেটাভার্সের নিরাপত্তা নিয়ে। অভিযোগকারিণী, ভারতীয় বংশোদ্ভূত লন্ডন নিবাসী মহিলা। তার বয়স ৪৩ বছর। তিনি কাবুনি ভেঞ্চার্স নামে, এক ইমার্সিভ টেকনোলজি সংস্থায় মেটাভার্স নিয়ে গবেষণার কাজ করেন। সম্প্রতি এক ব্লগ পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, গবেষণার কাজেই তিনি মেটাভার্সে সাইন ইন করেছিলেন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ৩-৪ জন পুরুষের অবতার, তার মেটাভার্স অবতারকে মৌখিক এবং শারীরিকভাবে যৌন হেনস্থা করতে শুরু করে। মহিলার দাবি, সেই পুরুষরা তার অবতারকে গণধর্ষণ করে।
এখানেই শেষ না, সেই ধর্ষণকাণ্ডের ছবিও তোলা হয়, এবং অভিযুক্তরা তাঁকে বলে, ‘এমন ভাব দেখিও না, যে তুমি এটা পছন্দ করছ না’। ওই মহিলাকে অসহায়ভাবে নিজের অবতারকে, একদল পুরুষ অবতারের দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হতে দেখতে হয়। তার অবতারের উপর ক্রমাগত অত্যাচার হওয়ার শব্দ সহ্য করতে না পেরে, শেষে নিজের হেডফোনের তার ছিঁড়ে ফেলেন অভিযোগকারিণী। তারপর থেকে সেই ভয়াবহ ঘটনার মানসিক উদ্বেগ থেকে এখনও মুক্ত হতে পারেননি তিনি।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই ভয়ানক অভিজ্ঞতা এত দ্রুত ঘটে, যে মেটাভার্সে যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতা স্থাপন করা যায়, তার কথা তার মাথায় আসারও সময় পায়নি। ঘটনার ভয়াবহতায় স্বাভাবিকতা হারিয়েছিলেন তিনি। মহিলার এমন অভিজ্ঞতা জানতে পেরে দুঃখ প্রকাশ করেছে মেটা সংস্থা। এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, হরাইজন ওয়ার্ল্ডসে সবাই ইতিবাচক অভিজ্ঞতা লাভ করুক। সংস্থার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা এমন ব্যবস্থা করছেন, যাতে সকলে সহজেই নিরাপত্তা সরঞ্জামগুলি খুঁজে পান। এই ধরনের বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে সেগুলি সহায়তা করবে বলেই আশ্বাস তার। সূত্র : নিউজ ১৮।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন