এই সপ্তাহের শুরুতে একের পর এক পদত্যাগের ঢেউয়ের পরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার দপ্তরে দুটি নতুন নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন। ক্যাবিনেট অফিস মিনিস্টার স্টিভ বার্কলে প্রধানমন্ত্রীর চিফ অব স্টাফ হবেন। বিবিসির সাবেক সাংবাদিক গুটো হারি হবেন যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক হবেন। বরিস জনসন লন্ডনের মেয়র থাকার সময় গুটো হারি তার উপদেষ্টা ছিলেন। পার্টিগেট কেলেঙ্কারির কারণে চাপের মুখে থাকা বরিস জনসন বলেছেন, এই রদবদল ‘প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের কাজকর্মের উন্নয়ন ঘটাবে’। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি কঠিন সপ্তাহের শেষে এ নিয়োগের ঘটনা এলো। বৃহস্পতিবার রাত থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পাঁচজন সহযোগী পদত্যাগ করেন। এর আগে জনসনের রক্ষণশীল দলের আরেকজন এমপি সাবেক মন্ত্রী নিক গিব প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে যোগ দিয়েছেন। সাবেক মন্ত্রী গিব প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে পত্র দিয়েছেন। দলের আরেকজন এমপি স্টিফেন হ্যামন্ড বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তার কোনো আস্থা আছে কিনা তা ‘খুব সতর্কভাবে খতিয়ে দেখছেন’ তিনি। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টি করার মাধ্যমে করোনাকালীন বিধিনিষেধ ভঙ্গ করা হয়েছিল কিনা তা কিছুদিন ধরে তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে প্রচণ্ড চাপের মুখে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তার নিজের দলে এ নিয়ে রীতিমতো বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে গার্ডিয়ান পত্রিকা শনিবার জানায়, লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে ২০২০ সালের জুনে লকডাউনের সময় আয়োজিত জন্মদিনের পার্টিতে বরিস জনসন বিয়ারের ক্যান হাতে একটি ছবি রয়েছে। তদন্তকারী জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা স্যু গ্রে মেট্রোপলিটন পুলিশকে সামাজিক মেলামেশার বিধি ভঙ্গ করে ডাউনিং স্ট্রিটে আয়োজিত পার্টির যে ৩০০ ছবি জমা দিয়েছেন, বরিসের বিয়ার হাতে ছবিটি তার অন্যতম। বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন