যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে আর কোন নতুন সদস্য যুক্ত হওয়া সমর্থন করবে না চীন। এ ব্যাপারে মস্কোর সঙ্গে একমত হয়েছে বেইজিং। এদিকে, ইউক্রেন উত্তেজনা প্রশমনে মস্কো যাচ্ছেন ফ্রান্স ও জার্মানির শীর্ষ নেতারা। ইউক্রেন সংকটে চীনের সমর্থন পেল রাশিয়া। শীতকালীন অলিম্পিক উপলক্ষে চীন সফরে যাওয়া রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। বৈঠক শেষে পুতিন দুই দেশের মধ্যে ‘মর্যাদাপূর্ণ সম্পর্ক’ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এরপর বৈশ্বিক নিরাপত্তায় ওয়াশিংটনের ভূমিকাকে নেতিবাচক উল্লেখ করে একটি কৌশলগত নথি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, ‘‘(স্বাক্ষরকারী) প্রতিটি পক্ষ ন্যাটোর পরিসর বাড়ানোর বিরোধিতা করে এবং নর্থ আটলান্টিক অ্যালায়েন্সকে শীতল যুদ্ধকালীন আদর্শিক ধারণা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানায়।’’ অন্যান্য দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও স্বার্থের সম্মান জানানোর আহ্বান করা হয় নথিটিতে। ন্যাটো মহাসচিব জেনারেল ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ রুশ-চাইনিজ বক্তব্যের বিরোধিতা করেন। সংবাদমাধ্যম এমএসএনবিসিকে তিনি বলেন, ‘‘আসলে ন্যাটোর পরিসর বাড়ানো লক্ষ্য না। প্রতিটি সার্বভৌম দেশ যেন নিজের পথ বেছে নিতে পারে সেটাই লক্ষ্য।’’ এদিকে, ইউক্রেনকে ঘিরে উত্তেজনা এখনো কমেনি। ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া প্রায় এক লাখ সেনা জড়ো করেছে বলে পশ্চিমা দেশগুলো অভিযোগ করে আসছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদি হামলা করা হয়, তাহলে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর কঠিন অবরোধ আরোপের হুমকি দিয়েছে। সংকট নিরসনে ফ্রান্সের পর এখন জার্মানিও আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে। ফ্রেঞ্চ প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ সোমবার মস্কো ও মঙ্গলবার কিয়েভ সফরে যাবেন। শুক্রবার জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসও ঘোষণা দেন যে তিনি ১৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন ও পরদিন রাশিয়া সফর করবেন। এপি, ডিপিএ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন