শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

কঙ্গনার মোক্ষম জবাব দিলেন শাবানা আজমি

হিজাব বিতর্কে দুই অভিনেত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৮ এএম

কর্ণাটকের হিজাব বিতর্কের রেশ ছড়িয়েছে গোটা দেশে। বিনোদুনিয়ার তারকারাও মুখ খিলেছেন এপ্রসঙ্গে। দিন কয়েক আগেই প্রতিবাদ করেছিলেন কমল হাসান, জাভেদ আখতার। এবার হিজাব-কাণ্ড নিয়ে প্রকাশ্যেই তরজায় জড়ালেন দুই অভিনেত্রী- কঙ্গনা রানাউত ও শাবানা আজমী।

ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে কঙ্গনা লিখেছেন, যদি অত সাহস দেখাতেই হয়, তাহলে আফগানিস্তানে বোরখা না পরে দেখাক দেখি। খাঁচাবন্দি হয়ে নয়, মুক্ত হতে শিখুন। ইরানে হিজাব পরা নিয়ে মহিলাদের এক আন্দোলনের টুইটের প্রতিক্রিয়া শেয়ার করে একথা বলেন বলিউডের ‘কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন’। নজর এড়ায়নি শাবানা আজমির। কঙ্গনা ইনস্টা-স্টোরির স্ক্রিনশট নিয়ে পাল্টা টুইট করে মোক্ষম জবাব দেন।

শাবানা লিখেছেন, আফগানিস্তান তো ধর্মপ্রধান দেশ। আমি যদি ভুল বলে থাকি, তাহলে শুধরে দেবেন। আর শেষ যখন খোঁজ নিয়েছিলাম, জানতে পেরেছিলাম ভারত ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক এক রাষ্ট্র! প্রসঙ্গত, কঙ্গনা-জাভেদ মামলা কারোরই অজানা নয়। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর প্রকাশ্যে জাভেদকে কটুক্তি করেছিলেন কঙ্গনা। যার প্রেক্ষিতে গীতিকার মানহানির মামলা করেন অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। শাবানার সঙ্গেও একাধিকবার নেটমাধ্যমে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন কঙ্গনা। সূত্রপাত যদিও তার দিক থেকেই হত। তবে এবার শাবানাই এগিয়ে এসে কঙ্গনার মন্তব্যের পাল্টা দিলেন।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কর্ণাটকের উদুপির এক সরকারি শিক্ষাঙ্গনে হিজাব পরিহিত পড়ুয়াদের ক্লাস না করতে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে এই নিয়ে দফায় দফায় অশান্তির সূত্রপাত। কোথাও পাথর ছোঁড়াছুড়ির মতো ঘটনা ঘটে, আবার কোথাও বা লাঠিচার্জ হয়। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক হয়ে ওঠে যে, যার জেরে তিন দিন স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় কর্ণাটক হাইকোর্ট। দক্ষিণী রাজ্যের হিজাব বিতর্কের বিরুদ্ধে কমল হাসান বলেছিলেন, বিভাজনের বিষ পুঁতে দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের মধ্যে। কণার্টকে যা হচ্ছে, তা যেন তামিলনাড়ুতে না ঘটে। প্রতিবাদ করেন জাভেদ আখতারও। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
Md Abdul Hakim ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৭:০৬ এএম says : 0
একজন শিখ পাগড়ি পরলে সমস্যা নেই, একজন হিন্দু পুরুষ ধুতি পরলে সমস্যা নেই, একজন হিন্দু পুরুষ টিঁকি রাখলে সমস্যা নেই, দাড়ি রাখলে সমস্যা নেই, একজন হিন্দু মহিলা শাঁখাসিঁদুর পরলে সমস্যা নেই, একজন মুখ্যমন্ত্রী কিংবা একজন মন্ত্রী ধর্মীয় গেরুয়া বস্ত্র পরলে সমস্যা নেই কিন্তু একজন মুসলিম মেয়ে হিজাব পরে কলেজে গেলে সমস্যা...বোরখা পরলে সমস্যা, মুসলমান দাড়ি রাখলে সমস্যা, মুসলমান টুপি পরলে সমস্যা।। মুসলিম বিদ্বেষ ছড়ানোই এর মূল উদ্দেশ্য। এদেশের মাটিতে সাধুরা উলঙ্গ ঘুরতে পারে কিন্তু একটা মেয়ে সম্পূর্ণ শরীর ঢেকে ঘুরতে পারবে না? কি আশ্চর্য যুক্তি!! স্কুল কলেজে যদি ধর্মীয় সরস্বতী পূজো চলতে পারে তবে ধর্মীয় বোরখা চলবেনা কেন??? বিদ্বেষের বিষবাষ্প মুক্ত ভারত চাই
Total Reply(0)
Kholifa Tmyc ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৭:০৬ এএম says : 0
স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটি'তে সরস্বতী পূজা হতে পারে। একজন শিখ পাঞ্জাবি, তারা ধর্ম পালন করতে গিয়ে মাথায় পাগড়ী পরে সরকারি দপ্তরে কাজ করতে পারে। একজন হিন্দু কপালে তিলক লাগিয়ে গেরুয়া বস্ত্র পরিধান করে পার্লামেন্টের সদস্য হতে পারে। তাহলে মুসলিম নারীরা মাথায় হিজাব বোরকা পরে স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটিতে কেনো যেতে পারে না ? পোশাক পরিচ্ছদ জীবন-জীবিকা এবং প্রত্যেক জাতির ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার সংবিধান দিয়েছে সেই স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা সরকারের কাজ নয়। কর্ণাটক সরকারের জাতিভেদী মানসিকতার প্রতি তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই।
Total Reply(0)
Pratik Banerjee ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৭:০৭ এএম says : 0
সাংবিধানিক পোস্টে থাকা কোনো এক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যদি কপালে তিলক কেটে গেরুয়া বসন পরে রাজ্য চালাতে পারে সেখানে কেউ যেমন তাকে প্রশ্ন করতে পারে না তেমনই এক্ষেত্রেও প্রশ্ন করা সাজে না, ঐ মুখ্যমন্ত্রীকেও কেউ জিজ্ঞাসা করবে না কেন আপনি গেরুয়া বসন পড়েছেন তেমনি মুসলিম মেয়েটিকেও জিজ্ঞাসা করার অধিকার নেই যে কেন হিজাব পরিধান করেছো কারণ দুটোই অধিকার দিয়েছে সংবিধান, সংবিধান মানুষকে খাওয়ার পরিধান করার স্বাধীন ভাবে ঘোরার স্বাধীন ভাবে কার্য করার অধিকার দিয়েছে সেটা যদি কেউ মনে করে এই অধিকার কেবলমাত্র মোদির ব্যাক্তিগত সম্পত্তি তাহলে তো খুব ভুল এবং গুরুতর খারাপ বিষয়
Total Reply(0)
Milon Chattopadhyay ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৭:০৮ এএম says : 0
"যে দেশ প্রধানত: ধর্মের মিলেই মানুষকে মেলায়, অন্য কোন বাঁধনে তাকে বাঁধতে পারেনা, সে দেশ হতভাগ্য। সে দেশ স্বয়ং ধর্মকে দিয়ে যে বিভেদ সৃষ্টি করে সেইটে সকলের চেয়ে সর্বশেষ বিভেদ।" বিজেপি হাটাও দেশ বাচাও
Total Reply(0)
Farhana Haque ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৭:০৯ এএম says : 0
প্রায় 100 বছর ধরে হিন্দু-মুসলিম দ্বন্দ্ব চলছে এই উপমহাদেশে। যারা চালাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য নিজের আখের গোছানো। সাধারণ মানুষ কখনো বুঝেনি যে সমস্যা তাদের নিজেদের মধ্যে নয়, এটা অনেকটা পাপেট শো টাইপ, অল স্ক্রিপ্টেড, যেটার সুতো নাড়ছে অন্য কেউ, মহড়া হিসেবে পুতুল নাচের যে পুতুলটা নাচছে সেটা তার নিজস্ব চিন্তাভাবনা নয়।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন