হিজাব নিয়ে বিতর্ক উঠেছে ইউরোপে। ইউরোপের ভবিষ্যত নিয়ে আয়োজিত সম্মেলন উপলক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এক বিজ্ঞাপনে হিজাব পরিহিত এক নারীর ছবি প্রকাশের পর এই বিতর্ক শুরু হয়েছে। ফ্রান্সের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে যাওয়া মধ্যডানপন্থি ভ্যালেরি পেক্রেসের উপদেষ্টা থিবল্ট ডি মন্টব্রিয়াল বলেছেন, ইইউর ভবিষ্যত চিত্রিত করার জন্য এমন একটি ছবির ব্যবহার তাকে ‘বাকশক্তিহীন’ করে ফেলেছে। ফ্রান্সের মুসলিম বিদ্বেষ অবশ্য নতুন কিছু নয়। গত মাসে খেলাধুলার প্রতিযোগিতায় হিজাব নিষিদ্ধের পক্ষে ভোট দিয়েছে দেশটির সিনেট। গত বছর ফ্রান্সের পার্লামেন্টে তথাকথিত ‘বিচ্ছিন্নতাবাদ’ বিল পাস হয়। এতে ‘মৌলবাদী ইসলামের’ উত্থান ঠেকাতে মসজিদ, স্কুল ও স্পোর্টস ক্লাবগুলোর ওপর নজরদারির কথা বলা হয়েছে। মিসরের ইসলামপন্থি দল মুসলিম ব্রাদারহুডের উল্লেখ করে এক টুইটে থিবল্ট বলেছেন, ‘মুসলিম ব্রাদারহুড এর স্বপ্ন দেখেনি, উপকারী বোকারা কাজটি করেছে। আমার বেলায় আমি ইউরোপের জন্য এমন ভবিষ্যত এড়াতে সব শক্তি দিয়ে লড়াই করব।’ ফ্রান্সের লিবারেশন পত্রিকার সাংবাদিক জিন কোয়ার্টারমেয়ারও একই সুর দিয়েছেন। তার দাবি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে মুসলিম ব্রাদারহুডের গোপন যোগসাজশ রয়েছে। এই দুজনের মন্তব্যের সমালোচা করে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকার ইইউ প্রতিনিধি মেহরীন খান বলেছেন, ইইউর বিরুদ্ধে ‘আবারও মুসলিম ব্রাদারহুডের পুতুল হিসেবে একটি গোপন ইসলামবাদী চক্রান্তের অভিযোগ আনা হয়েছে, কারণ একটি পোস্টারে একজন মুসলিম নারী রয়েছেন।’ তিনি লিখেছেন, ‘যারা ব্রেক্সিট ছেড়ে যাওয়ার প্রচারণায় বর্ণবাদের জন্য বিলাপ করেছিল, সেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় দেশটির গুরুত্বপূর্ণ সংবাদমাধ্যম ব্রাসেলসকে একটি পচা ইসলামবাদী ষড়যন্ত্র হিসাবে আখ্যা দিয়েছে। কারণ ইইউর ছবি আর্কাইভে বাদামী বর্ণের নারী রয়েছে।’ আল-জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন