শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

৭ রাজ্যে ১৪ নারী বিয়ে, অতঃপর...

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৮ এএম

প্রতারক সোয়েনের শিকারের তালিকায় ছিলেন আইনজীবী, চিকিৎসক, নার্স, আধাসেনায় কর্মরত নারী, এমনকি বেশ কয়েক জন উচ্চশিক্ষিত নারীও। এর আগে যুবকদের চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে হায়দরাবাদে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। জানা যায়, ভারতের ৭ রাজ্যে ১৪ নারীকে বিয়ে ও তাদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সময় সোমবার ওড়িশা রাজ্যের ভুবনেশ্বর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার আনন্দবাজার জানায়, ৪৮ বছরে দিল্লি, পঞ্জাব, অসম, ঝাড়খÐ এবং ওড়িশাসহ ৭ রাজ্যে ১৪টি বিয়ে করে অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন বছর ষাটের প্রৌঢ়া বিধুপ্রকাশ সোয়েন। সোমবার তাকে ভুবনেশ্বর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত বিধুপ্রকাশ সোয়েন ভারতের ওড়িশার কেন্দ্রাপড়ার পাতকুড়া থানার বাসিন্দা। বিয়ে সম্পর্কিত ওয়েরবসাইটগুলোতে নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে নারীদের সঙ্গে আলাপ জমাতেন। শিকার হিসেবে বেছে নিতেন মূলত মাঝবয়সী অবিবাহিত নারী, ডিভোর্সিদের। এভাবে একে একে তার শিকারের ফাঁদে ফেলেন নারী চিকিৎসক, আধাসেনায় কর্মরত নারী, আইনজীবী এমনকি উচ্চশিক্ষিত নারীদেরও। অভিযুক্তের প্রথম শিকার ১৯৮২ সালে। ওই বছ এক নারীকে বিয়ে করেন তিনি। দ্বিতীয় বিয়ে করেন ২০০২ সালে। ভুবনেশ্বরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ঊমাশঙ্কর দাশ জানিয়েছেন, প্রথম এবং দ্বিতীয়পক্ষের স্ত্রীর মোট ৫ সন্তান। ২০০২ থেকে ২০২০ এর মধ্যে বিয়ে সম্পর্কিত ওয়েবসাইটে গিয়ে নারীদের সঙ্গে আলাপ জমিয়ে তাদের বিশ্বাস অর্জন করার পর বিয়ে করতেন। এবং ঘটনাচক্রে, যত জনকে তিনি বিয়ে করছেন, কেউই তার আগের বিয়ে সম্পর্কে ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, বিয়ে করাই তার মূল উদ্দেশ্য ছিল না। তার মূল উদ্দেশ্য ছিল চাকরিজীবী নারীদের বিয়ে করে তাদের টাকাপয়সা আত্মসাৎ করা। আর প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি বিয়ের পর স্ত্রীদের টাকা হাতিয়ে পালাতে সক্ষম হয়েছেন। এবিপি।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন