জার্মানির ব্যার্টেলসমান ফাউন্ডেশনের গবেষণায় দেখা গেছে, শরণার্থী ও অভিবাসীদের গ্রহণ করতে জার্মানরা ২০১৫ সালের তুলনায় একটু নমনীয় হয়েছে। গবেষণার অন্যতম লেখক উলরিকে ভিলান্ড বলছেন, আমাদের জরিপ বলছে, অভিবাসনের ব্যাপারে জার্মানদের মধ্যে এখনও অনেক সংশয় আছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সেটা ক্রমেই কমছে। তিনি বলেন, অর্থনীতিতে যে অভিবাসীদের অবদান আছে সেটা এখন অনেকেই স্বীকার করেন।
জরিপে অংশ নেয়া প্রতি তিনজনের দুইজন মনে করেন, জার্মানির বয়স্ক সমাজে ভারসাম্য আনতে অভিবাসন সহায়তা করছে। অর্ধেকের বেশি মানুষ মনে করেন, জার্মানিতে এখন যে দক্ষ শ্রমিকের সংকট দেখা যাচ্ছে সেটা অভিবাসন দিয়ে পূরণ হতে পারে। অর্ধেক উত্তরদাতা প্রত্যাশা করেন, অভিবাসীরা জার্মানির বিমা তহবিলে অতিরিক্ত রাজস্ব যোগ করবে। ৩৬ শতাংশ উত্তরদাতা আর শরণার্থী নেয়ার পক্ষে নন। ২০১৭ সালে সংখ্যাটি এর চেয়ে বেশি ছিল - ৫৪ শতাংশ। ৬৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, অভিবাসীরা কল্যাণ রাষ্ট্রের উপর অতিরিক্ত বোঝা চাপাচ্ছে। জার্মানিতে জন্ম ও বেড়ে ওঠা সন্তান ও অভিবাসীদের সন্তানদের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন ৬৬ শতাংশ উত্তরদাতা।
জরিপে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। ৭১ শতাংশ উত্তরদাতার কাছে দক্ষ অভিবাসীদের চাকরি বা লেখাপড়ার সুযোগ খোঁজার বিষয়টি গ্রহণযোগ্য। আর নিরাপত্তার সুযোগ খোঁজা শরণার্থীদের বিষয়টি গ্রহণযোগ্য ৫৯ শতাংশ উত্তরদাতার কাছে।
গত ডিসেম্বরে ক্ষমতা নেয়া জার্মানির নতুন সরকার অভিবাসন আরো সহজ করার পরিকল্পনা করছে। যেমন-জার্মান ভাষা জানলে ও চলার মতো পর্যাপ্ত আয় থাকলে প্রত্যাখ্যাত হওয়া আশ্রয়প্রার্থীদের জার্মানিতে আজীবন থাকার অনুমতি দেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। সব শরণার্থীকে তাদের দেশ থেকে পরিবার আনার সুযোগ দেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। নাগরিকত্ব পাওয়া আরো সহজ করার পরিকল্পনা করছে। সূত্র : ডয়চে ভেলে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন