ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের মহারাষ্ট্রে একটি আবাসিক স্কুলের ১২ ছাত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছেন সাত শিক্ষক ও চার কর্মচারী। ধর্ষণের অভিযোগে তাদেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে স্কুলটির প্রধান শিক্ষকও রয়েছেন। আরও কয়েকজন শিক্ষককে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধর্ষিতা ছাত্রীদের বয়েস ১২ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। এরা প্রত্যেকেই থাকত স্কুলের হোস্টেলে। ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়েছে তিন ছাত্রী। দিওয়ালির ছুটিতে বাড়ি ফিরে অনেকেই বাবা মাকে জানায় নিজেদের নিদারুণ অভিজ্ঞতার কথা। পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের অভিযোগে আরও কয়েকজন শিক্ষককেও গ্রেফতার করা হতে পারে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক দিগম্বর খারাত, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ইত্তুসিং পাওয়ার খারাত, সুপার কাম রেক্টর নারায়ণ আম্বোর, সহকারী স্বপ্নিল লাখি, রাঁধুনি দীপক ককরি, শিক্ষক ললিতা ভাজিরে, মান্থা ককরি ও শেওয়ান্তা রাউত। এছাড়া স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির চেয়ারম্যান গাজানান ককরি ও ট্রাস্টি সঞ্জয় ও পুরুষোত্তম কাকরিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুম্বাই থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরবর্তী বুলদানা জেলায় নিনাধি আশ্রম নামের ওই বেসরকারি আবাসিক স্কুলে আদিবাসী ছাত্রীরা পড়াশোনা করে। যেসব শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করা হয়েছে তাদের বয়স ১২ থেকে ১৪ বছর। সম্প্রতি দিপাবলীর ছুটিতে স্কুলের ছাত্রীরা বাড়ি গিয়েছিল। জলগাঁও জেলার হালখেড়া গ্রামের তিন ছাত্রীও ওই স্কুলে পড়ে। অন্যদের মতো তাদের ছুটাছুটি না করে চুপচাপ দেখে তাদের আত্মীয়-স্বজনরা জানতে চান কী হয়েছে। তখন ওই ছাত্রীরা জানায় তাদের পেটে ব্যথা, ভেতরে একটা ভারী কিছু আছে বলে মনে হয় সবসময়। ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে দেখা যায় তারা সন্তান-সম্ভবা। তখনই ধর্ষণের ঘটনাটি প্রকাশ পায়। এরপরই প্রথমে জলগাঁও জেলার পুলিশ এবং তারপরে বুলদানা জেলা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, দ্য হিন্দু, সিএনএন, বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন