রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

অভিযান কেন ঠেকাতে পারল না পশ্চিমারা?

যুক্তরাষ্ট্র জানতো রাশিয়ার ‘পরিকল্পনা’, কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। নিষেধাজ্ঞার হুমকিকে অসার প্রমাণ করেছেন পুতিন। মাসব্যাপী সামরিক সমাবেশ আড়ালে রাখতে কূটনীতিকে ব্যবহার করা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:২৩ এএম

চোখের সামনেই এটি ঘটেছে, কোনও বিরতি ছাড়াই প্রায় চার মাস ধরে সেনা, ট্যাংক ও রকেট মোতায়েন করা হয়েছে। যা ধারণ করেছেন সাধারণ রুশ জনগণ তাদের সেলফোন ও ড্যাশক্যাম দিয়ে। এমনকি বাণিজ্যিক ও গোয়েন্দা স্যাটেলাইটেও বিষয়টি ধরা পড়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ১৯ জানুয়ারি সতর্ক করে বলেছিলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সেনা পাঠাতে পারেন। আর ১৮ ফেব্রুয়ারি তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে পুতিন কয়েক দিনের মধ্যে ইউক্রেনে আক্রমণ ও রাজধানী কিয়েভ দখলের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন।

কিন্তু উন্মত্ত কূটনীতি, নিষেধাজ্ঞার হুমকি ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে নজিরবিহীন ‘তথ্যযুদ্ধ’ বৃহস্পতিবার ভোরে ক্ষমতাহীন বলে প্রমাণিত হয়েছে। ওই সময় রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের শহরগুলোতে আঘাত করে এবং সেনারা সীমান্ত অতিক্রম করে প্রতিবেশীর ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে। গুরুত্বপূর্ণ হলো, পুতিন জানতেন যে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো ইউক্রেনের হয়ে লড়াই করতে হস্তক্ষেপ করবে না। পশ্চিমা নেতারা প্রকাশ্যেই এ কথা জানিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ন্যাটো জোটের সদস্য ছিল না ইউক্রেন।

লন্ডনভিত্তিক থিংক-ট্যাংক আরইউসিআই’র জনাথন ইয়াল বলেন, এটি ছিল সবচেয়ে অপূর্ণ অংশ। পুতিনকে যখন কেউ বলবে যে যাই ঘটুক আমরা হস্তক্ষেপ করবো না, তখন তিনি সুবিধাজনক অবস্থান পেয়ে যান। তিনি নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি মোকাবিলায় রাজি ছিলেন। কারণ, তার কাছে এটি ছিল পুষিয়ে নেওয়ার মতো। তিনি আরও বলেন, আমাদের সঙ্গে পুতিন প্রতারণা করেননি, আমাদের বিভ্রান্ত করেননি। আমরা জানতাম তিনি কী করবেন। একমাত্র সমস্যা ছিল আমরা চূড়ান্ত ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত ছিলাম না। কয়েক সপ্তাহ ধরে রাশিয়া প্রকাশ্যে পশ্চিমাদের আক্রমণ নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে মশকরা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির মিত্রদের বিরুদ্ধে হিস্টিরিয়া ও যুদ্ধ-প্রবণতার অভিযোগ এনেছে।

পুতিনের মুখপাত্র বলেছেন, রুশ আক্রমণের সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে পশ্চিমা মিডিয়ার প্রতিবেদন নিয়ে হাসাহাসি করেছেন রুশ নেতা। হাস্যরসে তিনি উপদেষ্টাদের বলেছেন, কখন আক্রমণ শুরু হবে তা তাকে জানাতে। কিন্তু পুরো সময়জুড়ে তিনি ট্রিগারে চাপ দেওয়ার কাছাকাছি যাচ্ছিলেন।

গত বছরের নভেম্বর থেকে রাশিয়ার সামরিক সমাবেশ চলছিল। একই সমান্তরালে পুতিন কূটনৈতিক উদ্যোগ নেন। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের কাছ থেকে আইনি নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দাবি করেন। ডিসেম্বরে ন্যাটোর কাছে এই দাবি তুলে ধরা হয়। এমনকি ক্রেমলিন ঘনিষ্ঠ বিশ্লেষকরাও বলেছেন, মস্কো জানতো তাদের দাবি প্রত্যাখ্যান করা হবে। তাদের দাবির মধ্যে ছিল ইউক্রেনকে ন্যাটো জোটে অন্তর্ভুক্ত না করা এবং ১৯৯৭ সাল থেকে পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর মোতায়েন করা সব সামরিক অবকাঠামো সরিয়ে নেওয়া।

পশ্চিমাদের জন্য এটি ছিল একটি ফাঁদ। এতে পশ্চিমারা পা দেওয়ার ফলে বিরোধীদের বিরুদ্ধে কূটনীতিতে সায় না দেওয়ার অভিযোগ আনার সুযোগ পেয়ে গেছেন পুতিন। তাই তার কাছে বিষয়টি নিজের হাতে নেওয়া ছাড়া কোনও গতি ছিল না। ঠিক এই যুক্তিই তিনি পুরো সপ্তাহে তুলে ধরেছেন।

একই সঙ্গে রাশিয়ার সেনা সমাবেশ যত বাড়ছিল, ন্যাটোও পূর্ব ইউরোপে কয়েক হাজার অতিরিক্ত সেনা, ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রসহ সামরিক সরঞ্জাম পাঠায়। এটিকেও পুতিন পশ্চিমাদের আগ্রাসী মনোভাবের প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরেছেন।

ইউক্রেন যে আক্রমণ শিকার হতে যাচ্ছে তা জানতো যুক্তরাষ্ট্র। হয়তো এই আক্রমণের ব্যাপ্তি ও বিশালতা নিয়ে নিশ্চিত ছিল না। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বারবার বলে আসছিলেন, যে সামরিক ও প্রোপাগান্ডা প্লেবুক ক্রিমিয়া দখলে ব্যবহার করেছিল রাশিয়া, তা আবারও কাজে লাগাচ্ছে।

কিন্তু বছরের পর বছর নিষেধাজ্ঞায় থাকা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাপক ও নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞার হুমকি অকার্যকর বলে প্রতীয়মান হয়েছে। স্বর্ণ ও বিদেশি মুদ্রায় রাশিয়ার রিজার্ভে রয়েছে ৬৩৫ বিলিয়ন ডলার এবং ইউরোপের এক-তৃতীয়াংশ জ্বালানি সরবরাহকারী মস্কো।

পশ্চিমারা নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিতে থাকলেও নেতারা পুতিনের আক্রমণের সিদ্ধান্ত বদলের বিষয়েই জোর দিচ্ছিলেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, হয়তো নিষেধাজ্ঞা যুক্তিহীন কাজের মানুষকে ঠেকানোর ক্ষেত্রে যথেষ্ট হবে না। এক বিরল ও ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন রাশিয়ার ‘ফলস ফ্ল্যাগ’ অপারেশনের তথ্য প্রকাশ করে। ব্লিনকেন জাতিসংঘে বলেছেন, এর ফলে প্রকৃত বা ভুয়া রাসায়নিক অভিযানর জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করতে পারে রাশিয়া। মার্কিন গোয়েন্দাদের এই কৌশলের প্রশংসা করছেন থিংক-ট্যাংক আরইউসিআই’র জনাথন ইয়াল। তিনি জানান, এতে পুতিন চমকে যেতে পারেন এবং তার ইচ্ছার কথা প্রমাণে কার্যকর হতে পারে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার প্রবণতা পুতিনকে কী মূল্য দিবে তা সম্পর্কে ধারণা দিয়েছে। ইয়াল বলেন, পুতিন সবসময় সুবিধাজনক অবস্থানে ছিলেন। কারণ, তিনি জানতেন আমাদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ কী প্রত্যাশা করা যায়। কোনও পর্যায়েই আমরা তাকে আক্রমণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার মতো পরিস্থিতিতে নিয়ে যেতে পারিনি।

পুরো সময় পুতিন কূটনীতির মধ্য দিয়ে গেছেন। বাইডেনের সঙ্গে দুটি ফোনালাপসহ ফ্রান্স ও জার্মানির নেতার সঙ্গে ক্রেমলিনে বৈঠক করেছেন। ফরাসি সূত্র জানিয়েছিল, তিন বছর আগের তুলনায় পুতিন অনেকটাই বদলে যাওয়া মানুষ। বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেছিলেন, তিনি আলোচনা চালিয়ে যেতে রাজি। কিন্তু ইউক্রেন জোটের সদস্য হলে রাশিয়া-ন্যাটো সংঘাতের হুমকিও দিয়েছিলেন। এক ফরাসি সাংবাদিকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, আপনি কি চান রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াক ফ্রান্স?

আক্রমণের আগে শেষ দশ দিনে পুতিন মিথ্যা ইঙ্গিত দিয়েছেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভকে দেখা যায় তাকে বলতে কূটনৈতিক সম্ভাবনা বাতিল হয়ে যায়নি এবং এই পথে চলতে পরামর্শ দেন। পরের দিনগুলোতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ভিডিও প্রকাশ করে, যেগুলোতে দেখা যায় রাশিয়ার ট্যাংক ও গোলাবারুদ ইউনিট ইউক্রেনের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। আর্থিক বাজারে খানিকটা স্বস্তি আসে। তবে ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্র জানায় যে সীমান্তের আরও কাছাকাছি যাচ্ছে রুশ সেনারা এবং আরও সেনা সমাবেশ ঘটানো হচ্ছে।

পুতিনের শেষ পদক্ষেপ ছিল হস্তক্ষেপের জন্য আধা-আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। যেমনটি তিনি ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের ক্ষেত্রে করেছিলেন। ওই সময় তিনি সেটিকে বৈধতা দিতে গণভোটের আয়োজন করেন। সোমবার তিনি রুশ সমর্থিত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুটি অঞ্চলের ‘স্বাধীনতা’র স্বীকৃতি দেন। আট বছর ধরে এই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছিল। একই সঙ্গে তাদের সঙ্গে মৈত্রী চুক্তি করেন, যার আওতায় সেখানে রুশ সেনাবাহিনী ও সামরিক ঘাঁটি গড়ে তোলার অনুমোদন দেওয়া হয়।

এই চুক্তি স্বাক্ষরের পর পুতিন প্রায় এক ঘণ্টা দীর্ঘ একটি ভাষণ দেন। যেখানে তিনি দাবি করেন, ইউক্রেন একটি কাগুজে রাষ্ট্র এবং কখনও প্রকৃত রাষ্ট্রীয় চরিত্র ছিল না। এখন তিনি বলছেন, ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের পুতুল এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে ন্যাটোর আগ্রাসনের মাঠ। পুতিন বলেছিলেন, কিয়েভের ক্ষমতা যাদের হাতে রয়েছে তাদের কাছে আমরা দাবি জানাচ্ছি অবিলম্বে শত্রুতা বন্ধ করার। অন্যথায় সম্ভাব্য রক্তপাত অব্যাহত রাখায় সব দায় ইউক্রেন ভূখণ্ডের শাসকদের নিতে হবে। এ ভাষণের ৪৮ ঘণ্টার কিছু সময় পর রাশিয়ার সেনাবাহিনী ইউক্রেনে আক্রমণ চালায় স্থল, আকাশ ও নৌপথে। সূত্র : রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Pritom Roy ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৭:০২ এএম says : 0
যেহেতু ন্যাটো, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্পষ্ট বলে দিয়েছে যে তারা ইউক্রেনের পক্ষ নিয়ে যুদ্ধ করবে না সেহেতু ইউক্রেনের উচিত রাশিয়ার আনুগত্য স্বীকার করে নিজের দেশের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া।
Total Reply(0)
Rasel Hasan ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৭:০২ এএম says : 0
পশ্চিমা বিশ্ব যুদ্ধের উস্কানি দিয়ে এখন আর ইউক্রেনের পাশে নেই, ইউক্রেন দখল নিতে রাশিয়ার সময়ের ব্যাপার মাত্র
Total Reply(0)
Md Mohi Uddin Rajib ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৭:০৩ এএম says : 0
এতো সহজে? গোলকধাঁধায় পড়ে গেলাম, বিশ্বের ২২ তম সামরিক শক্তির দেশ ইউক্রেন ২ দিনেই এমন?? প্রতিরোধ এমন নাজুক অবস্থা কেমনে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে যায় বুঝে আসতেছে না। নাকি ইউক্রেনেরই কিছু সামরিক নেতার কোন আঁতাত আছে রাশিয়ার সাথে পুনরায় সোভিয়েতে ডুকতে। কেনই বা পশ্চিমা সবাই এক সুরে তাল মিলিয়ে পিছপা হলো,, উত্তর খুজে দিবে আগামী কয়েকদিন।
Total Reply(0)
Mahabub Alam ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৭:০৩ এএম says : 0
আফগানিস্তান ইরাক ইয়ামেন সিরিয়া ফিলিস্তিনের নারী ও শিশুদের কান্না আজও থামেনি, হারামী আমেরিকা চালে ইউক্রেনের অবস্থা একই হবে আমেরিকা ন্যাটো জাতিসংঘ শুধুমাত্র তীব্রদিন্দা ও শোক প্রকাশ করা ছাড়া বিশ্বের সাধারণ মানুষের জন্য কিছুই করবে না।
Total Reply(0)
Saiful Islam Rokon ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৭:০৪ এএম says : 0
ইউক্রেনের উচিত আত্মসমর্পণ করা! জনগণের জীবনের মূল্য প্রসিডেন্টের আত্মসম্মানের চেয়ে বেশি।
Total Reply(0)
Shahjahan Bikram ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৭:০৪ এএম says : 0
· যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের একাধারে বিশ্বে আধিপত্য কমবে। যা আগামী বিশ্বের জন্য ভালো কিছু হওয়ার সম্বাবনাই বেশি।
Total Reply(0)
Kazi Sajib ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৭:০৫ এএম says : 0
এই মুহূর্তে ইউক্রেনের সামনে একটাই পথ খোলা আছে আর তা হলো রাশিয়ার কাছে আত্মসমর্পণ করা।তাহলে অনেক মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষা পাবে।কারণ তাদের পরাজয় ১০০% নিশ্চিত যতই তারা আত্মসমর্পণ করতে দেরি করবে ততই তাদের জীবন ও সম্পদের ক্ষয়- ক্ষতি বেশি হবে।আর আত্মসমর্পণ করার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য আরও একটা শিক্ষা নিতে হবে দুষ্ট লোকের মিথ্যা আশ্বাসে পড়া কখনই বুদ্ধিমানের কাজ না।বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে আমেরিকার মতো বন্ধু যাদের আছে তাদের কোনো শত্রুর দরকার হয়না।
Total Reply(0)
Ashikur Rahman ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৭:০৫ এএম says : 0
আমেরিকান ও নেট বাহিনীরা যখন মধ্যপ্রাচ্য ও আফগানিস্তানের মত দুর্বল দেশগুলোকে আক্রমণ করে আসছিল তখন তাদের সকল প্রকারের শক্তি প্রয়োগ দেখিয়েছিল, কিন্তু আজকের এই সংকটময় সময়ে তাদের বাহুবল, শক্তি, সামর্থ্য কোথায়? কথা হল দুর্বল কে নিয়ে খেলতে সবাই মজা পায়, সবলের বেলায় কেবলই আকুতি মিনতি..!
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন