রাশিয়ার জ্বালানির ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। এর ফলে মস্কো বিপুল পরিমাণ অর্থও আয় করে থাকে। আর এই দু’টি বিষয় থেকে ইউক্রেনে চলমান রুশ হামলা ও এতে করে সৃষ্ট সঙ্কটকে পৃথক করা যাবে না। বিবিসি বলছে, ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর সব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে শুরু করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সর্বশেষ রোববার মস্কোর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সংস্থাটি। এই নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ককে লক্ষ্যবস্তু করাসহ রাশিয়ার এয়ারলাইন্সগুলোর জন্য ইউরোপের আকাশ বন্ধ করা এবং ইউক্রেনের সমর্থনে অস্ত্র কেনা এবং সেগুলো দেশটিতে পাঠানোর কথা জানানো হয়। তবে এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে- রাশিয়ার অন্যতম একটি গ্যাস পাইপলাইনের অনুমোদন জার্মানি স্থগিত করা ছাড়া মস্কো থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জ্বালানি আমদানি একটুও কমায়নি। এমনিতেই ইউরোপজুড়ে জ্বালানির দাম এখন অনেক বেশি। এখন যদি জ্বালানির সঙ্কট শুরু হয় তাহলে মহাদেশজুড়ে এর দাম ছুটবে রকেটের গতিতে। এটা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনও বেশ ভালোই জানেন। আর মূল সমস্যাটা এখানেই। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একের পর এক কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ব্রাসেলস এখন ভয় পাচ্ছে যে, রাশিয়া হয়তো তাদের বিরুদ্ধ পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পারে। প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে রাশিয়া হয়তো ইউরোপে গ্যাস রপ্তানি স্থগিত করতে পারে কিংবা কমিয়ে দিতে পারে। বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন