বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী বড় বড় কার্নিভালগুলো অনুষ্ঠিত হয় ইতালিতেই। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে এসব কার্নিভাল উপলক্ষে ইতালিজুড়ে বিভিন্ন শহরে বসে পর্যটনের পসরা। সড়কে জ্বলে ঝলমলে আলো, রঙিন পোশাক, মুখোশে আবৃত মানুষ মেতে ওঠেন উৎসবে। এসব কার্নিভালের বড় আকর্ষণ থাকে নানান শোভাযাত্রাকে ঘিরে, থাকে নৌ-প্যারেড, ডিজে সেট, কনসার্ট এবং বাহারি খাবারের আয়োজন। প্রতিবছর এ সময়টাতে কার্নিভালকে উপলক্ষ করেই ইতালিতে জড়ো হয় সারাবিশ্বের লাখো পর্যটক। তবে করোনার ভয়াল থাবায় গেল দুই বছর ধরে এসব কার্নিভাল বন্ধ ছিল। এতে একরকম স্থবির ইতালির পর্যটন শিল্প। সংক্রমণ কমে আসায় আবারও উৎসবে মেতেছে ইতালি। আর এর মধ্য দিয়ে বিপর্যস্ত পর্যটন শিল্প ফেরাতে উদ্যোগী হয়ে উঠেছে দেশটির সরকার। দুই সপ্তাহ আগেই শুরু হয়েছে ইতালির বিখ্যাত ভেনিস কার্নিভাল। এই উৎসবে স্থানীয় বাসিন্দার প্রতিযোগিতায় নামে নিজেদের ঐতিহ্যবাহী কারুকার্য প্রদর্শনেরও। বাহারি এসব পোশাকের কোনও কোনওটি তৈরিতে সময় লেগে যায় প্রায় এক মাস। ইতালির উত্তর-পশ্চিমের আরেক শহর ভিসেনজাও সেজেছে অপরূপ সাজে। তুষারপাতের এই সময়ে কার্নিভালকে উপলক্ষ করে আসতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। আর এরই সঙ্গে সঙ্গে করোনা পরবর্তী সময়ে ইতালির অর্থনীতির চাকা ফের সচল হতে শুরু করেছে। এতে খুশির আমেজ দেখা দিয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝেও। কার্নিভালে স্থানীয়দের পাশাপাশি বাংলাদেশি অসংখ্য পরিবার মেতে উঠেছে আনন্দে। তারা বলছেন, করোনা পরবর্তীতে দীর্ঘদিন পর ইতালিতে কার্নিভালের অনুমতি মিলেছে। যা ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দাভাব দূর করছে। এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন