শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

রাশিয়া-ইউক্রেন ফের আলোচনা আজ

ইউক্রেনে প্রথম এক ভারতীয় ছাত্র নিহত : রাশিয়াকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঠেলে দেয়ার জন্য পশ্চিমারাই দায়ী : লুকাশেঙ্কো ইউক্রেন নিয়ে জাতিসংঘের বিতর্কে পাকিস্তান ‘পক্ষ নেবে না’

মুহাম্মদ সানাউল্লাহ/ইশতিয়াক মাহমুদ | প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০২২, ১২:০৫ এএম

রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের মধ্যে আরেক দফা আলোচনা আজ হতে যাচ্ছে। গতকাল ইউক্রেনের বার্তা সংস্থা জেরকালো নেদেলি এ তথ্য জানিয়েছে। এদিকে, রাশিয়ার বিশাল সামরিক বহর কিয়েভমুখী হবার কারণে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। কিয়েভ থেকে বিবিসির চিফ ইন্টারন্যাশনাল করেসপন্ডেন্ট লিস ডুসেট এ তথ্য জানিয়েছেন। রাশিয়ার সামরিক বহরের এ গতিপথ পর্যবেক্ষণ করছে পুরো বিশ্ব।

ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের সূত্রের বরাত দিয়ে গ্লাভকম নামের আরেকটি ইউক্রেনীয় মিডিয়া আউটলেট বৈঠকের প্রথম দফায় দুই পক্ষের দ্বারা অগ্রসর হওয়া শর্তাবলী প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনকে ন্যাটো জোটের বাইরে থাকা নিশ্চিত করতে দেশটির সংসদীয় স্তরে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং এ বিষয়ে একটি গণভোট আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দেয়ার দাবি করেছে। তাছাড়া, রাশিয়ান পক্ষ ইউক্রেনকে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের প্রশাসনিক সীমানায় ডোনেৎস্ক এবং লুগানস্ক পিপলস রিপাবলিককে স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানায় এবং ক্রিমিয়াকে ইউক্রেনে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি প্রত্যাহার করতে বলে। গ্লাভকমের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি এবং তার ভূখণ্ড থেকে রাশিয়ান সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।

সোমবার রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনা হয়। পাঁচ ঘণ্টা ধরে আলোচনা চলে। রাশিয়ান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন প্রেসিডেন্টর সহযোগী ভ্লাদিমির মেডিনস্কি, যিনি আগে বলেছিলেন যে, রাশিয়ান প্রতিনিধি দল ইউক্রেনের পক্ষের সাথে কথা বলতে প্রস্তুত ছিল যতক্ষণ না চুক্তিতে পৌঁছানো যায়। তিনি আরো বলেন, প্রতিনিধিদল প্রাথমিকভাবে বেলারুশে পরবর্তী দফা আলোচনার জন্য সম্মত হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট
ভলোদিমির জেলেনস্কি গতকাল তার দেশকে ইইউর অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ইউরোপীয় পার্লামেন্টে একটি আবেদন জানিয়েছেন।

এদিকে, খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, রাশিয়ার বিশাল সামরিক বহর এগিয়ে আসার পথে আরো বেশি শক্তি সঞ্চয় করছে। রাশিয়ান সেনাবাহিনী কিয়েভের নাগরিকদের বলেছে, তারা ‘অবাধে রাজধানী ছেড়ে চলে যেতে পারে’। কিয়েভ শহরের অনেকে আশঙ্কা করছেন, রাশিয়ার সৈন্যরা ‘মধ্যযুগীয় কায়দায়’ শহরকে অবরোধ করে রাখবে। শহরের বাসিন্দাদের জন্য খাদ্য, পানি এবং জরুরি সরবরাহ বন্ধের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে রাজধানীর ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলো পণ্যশূন্য হয়ে গেছে।

রাশিয়া যখন ইউক্রেনে হামলা শুরু করে তখন ধারণা করা হয়েছিল, শক্তিশালী রাশিয়া মাত্র কয়েকদিন কিংবা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কিয়েভ দখল করে নেবে। কিন্তু হামলার পর পাঁচদিন অতিবাহিত হয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর সরবরাহ করা অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এবং সাধারণ মানুষ একত্রিত হয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করেছে। অনেক সাধারণ মানুষ হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যোগ দিয়েছে।

জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা বলছে, গত পাঁচ দিনে প্রায় ৫ লাখ ২০ হাজার মানুষ ইউক্রেন থেকে পালিয়েছে। হেগের প্রসিকিউটর করিম খান বলেছেন, তিনি ‘ইউক্রেনের পরিস্থিতি’ তদন্ত করছেন। তিনি বলেছেন যে, ‘যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সঙ্ঘটিত হয়েছে’ বিশ্বাস করার একটি ‘যৌক্তিক ভিত্তি’ রয়েছে।

তুরস্ক বসফরাস এবং দারদানেলেস প্রণালী থেকে যুদ্ধজাহাজ অবরুদ্ধ করে ১৯৩৬ সালের একটি চুক্তির মাধ্যমে রাশিয়ান এবং অন্যান্য নৌ সম্পদের চলাচল সীমিত করেছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর সাথে এক কলে পুতিন ইউক্রেনের ‘অসামরিকীকরণ ও ডিনাজিফিকেশন’ দাবি করেছেন। জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রধান ‘গুরুতর উদ্বিগ্ন’ যে রাশিয়ান সৈন্যরা ইউক্রেনের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র জাপোরিঝিয়ায় কাজ করছে। টুইটার এবং ফেসবুক রাশিয়ার রাষ্ট্র-সংযুক্ত নিউজ আউটলেটগুলোর অনলাইন উপস্থিতি রোধ করতে চলেছে। রাশিয়াকে ২০২২ বিশ্বকাপ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং এর দলগুলোকে ‘পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না আসা পর্যন্ত’ সব আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা থেকে স্থগিত করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি রাশিয়ান এবং বেলারুশিয়ান ক্রীড়াবিদদের নিষিদ্ধ করার জন্য ক্রীড়া ফেডারেশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। রাশিয়ার জাতিসংঘ মিশনের ১২ সদস্যকে ‘গোয়েন্দা সংস্থা’ হিসেবে বহিষ্কার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা এক নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে সমস্ত লেনদেন নিষিদ্ধ করেছে। ইইউ তার নিষেধাজ্ঞার কালো তালিকায় আরো পুতিন মিত্রদের যুক্ত করেছে। পুতিন জরুরি মূলধন নিয়ন্ত্রণের আদেশ দিয়েছেন এবং রফতানিকারকদের তার মুদ্রাকে এগিয়ে নিতে রুবেল কিনতে বাধ্য করেন, যা এক পঞ্চমাংশের নিচে তথা রেকর্ড সর্বনিম্নে পৌঁছে গেছে।

ঐতিহ্যগতভাবে জোট নিরপেক্ষ ফিনল্যান্ডের আইন প্রণেতারা - যার রাশিয়ার সাথে দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে - ন্যাটোর সদস্যপদ নিয়ে বিতর্ক করবেন। ডিজনি এবং সনি পিকচার্স ইউক্রেন আক্রমণের কারণে রাশিয়ান সিনেমায় তাদের চলচ্চিত্রের মুক্তি বন্ধ করে দিয়েছে।

ভারতীয় ছাত্র নিহত : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এই প্রথম এক ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ছাত্রের নাম নবীন এস জি। তিনি কর্ণাটকের বাসিন্দা। টুইট করে এই খবর জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। ইতোমধ্যে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতদের তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদের কাছে ইউক্রেনের খারকিভে আটক ভারতীয় ছাত্রদের দ্রুততার সঙ্গে ফেরানোর দাবি জানানো হবে। ইতোমধ্যে নিহত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি। পরিবারের প্রতি শোকজ্ঞাপন করেছেন মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী।

গতকাল সকাল থেকেই ইউক্রেনজুড়ে হামলার মাত্রা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে রুশ সেনা। একের পর এক মিসাইল হানায় গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বড় বড় বাড়ি। যার মধ্যে বহু সরকারি সংস্থার অফিস রয়েছে।
যুদ্ধবিধ্বস্থ ইউক্রেনে আটকে রয়েছে এখনও বহু ভারতীয় শিক্ষার্থী। কেউ মাটির তলায় আশ্রয় নিয়েছেন, কেউ বা বাঙ্কারে। আটক ভারতীয়দের ফেরাতে ইতোমধ্যে তৎপর হয়েছে নয়াদিল্লি। ইউক্রেনের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের দূত হিসেবে পাঠাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

রাশিয়াকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঠেলে দেয়ার জন্য দায়ী পশ্চিমারাই : বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো সতর্ক করেছেন যে, পশ্চিমারা অন্যায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ‘রাশিয়াকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঠেলে দিচ্ছে’। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র লুকাশেঙ্কো রোববার একটি গণভোটের পরে, রাশিয়াকে তার ভূখণ্ডে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের অনুমতি দিয়ে বেলারুশের অ-পরমাণু এবং নিরপেক্ষ অবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে ত্যাগ করেছেন। ‘এখন ব্যাংকিং খাত, গ্যাস, তেল, সুইফটের বিরুদ্ধে অনেক কথা হচ্ছে। এটা যুদ্ধের চেয়েও খারাপ,’ বলেছেন লুকাশেঙ্কো, ‘এটি রাশিয়াকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আমাদের এখানে সংযত হওয়া দরকার যাতে ঝামেলা না হয়। কারণ পারমাণবিক যুদ্ধই সবকিছুর শেষ।’

বেলারুশের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন বলেছে, যারা গণভোটে অংশ নিয়েছিল তাদের মধ্যে ৬৫ দশমিক ২ শতাংশ রাশিয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে। যদিও প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত শাসনের কারণে ফলাফলটি সামান্য বিস্ময়কর ছিল। মানবাধিকার কর্মীরা বলেছেন, গণভোট বেশ কয়েকটি শহরে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভের জন্ম দেয়ার পরে কয়েকশ’ লোককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুতিন আক্রমণ শুরু করার নির্দেশ দেওয়ার পাঁচ দিন পরে বেলারুশ মঙ্গলবার তার সীমান্তে ইউক্রেনীয় এবং রাশিয়ান প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রথম শান্তি আলোচনার আয়োজন করার আগে লুকাশেঙ্কোর এ মন্তব্য এসেছে। ইউক্রেন বলেছে, পুতিন ন্যাটোর ‘আক্রমণাত্মক বিবৃতি’ এবং কঠোর আর্থিক নিষেধাজ্ঞার উদ্ধৃতি দিয়ে তার পারমাণবিক বাহিনীকে উচ্চ সতর্কতার মধ্যে রাখার পরে তার প্রতিনিধিদল সোমবার সকালে আলোচনার জন্য সীমান্তে পৌঁছেছিল।

জাতিসংঘের বিতর্কে পাকিস্তান ‘পক্ষ নেবে না’: ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে আলোচনার জন্য সোমবার থেকে শুরু হওয়া জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের জরুরি অধিবেশনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। একটি কূটনৈতিক সূত্র ডনকে জানিয়েছে, ‘পাকিস্তান এ ইস্যুতে কোনো পক্ষ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইসলামাবাদ একটি শান্তিপূর্ণ ও আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তিকে সমর্থন করে।’

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, যিনি আক্রমণ শুরুর দিন মস্কো সফর করেছিলেন, সোমবার তার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলেছেন, তিনি সেখানে শুধুমাত্র দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন। সাধারণ পরিষদ মঙ্গলবার তার বিতর্ক শেষ করবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং ততক্ষণে ১০০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরা জরুরি অধিবেশনে ভাষণ দেন। ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে মার্কিন-স্পনসর্ড রেজোলিউশনকে সমর্থন করা হবে কিনা সে বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

জাতিসংঘে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত সার্জি কিসলিয়্যাস বিশ্বব্যাপী সংস্থাকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে, ‘ইউক্রেন টিকে না থাকলে জাতিসংঘও বাঁচবে না।’ পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ক্রজিসটফ সেজারস্কি বৈঠকে বলেন যে, পাকিস্তানি বেসামরিক এবং ছাত্ররা সেই হাজার হাজার লোকের মধ্যে ছিল যারা পোল্যান্ডে আশ্রয় চেয়েছিল এবং পোল্যান্ড সরকার তাদের আশ্রয় দিয়েছিল। সাধারণ পরিষদ একটি বিধানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ১৯৫০ সাল থেকে মাত্র ১০টি জরুরি অধিবেশন করেছে যা ব্যাপকভাবে ‘শান্তির জন্য ঐক্য’ রেজোলিউশন নামে পরিচিত। রেজোলিউশনটি অ্যাসেম্বলিকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো গ্রহণ করার ক্ষমতা দেয় যখন নিরাপত্তা পরিষদ তার পাঁচ স্থায়ী সদস্যদের মধ্যে পার্থক্যের কারণে কাজ করতে অক্ষম হয়।

অ্যাসেম্বলির সভাপতি আবদুল্লাহ শহীদ মিটিংকে অবহিত করেছেন, ‘যেহেতু আমরা এখানে সাধারণ পরিষদে আহ্বান করেছি, উভয় পক্ষের আলোচকরা বেলারুশে আলোচনা করছেন’ গত সপ্তাহে শুরু হওয়া সঙ্কটের অবসান ঘটাতে। চীন ও ভারত ২৫ ফেব্রুয়ারি নিরাপত্তা পরিষদের ভোটে বিরত থাকলেও তারা সোমবারের বিতর্কে অংশ নিয়েছিল। চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি ঝাং জুন বলেছেন, চীন মস্কোসহ সকলের ‘বৈধ’ নিরাপত্তায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ইইউ, ন্যাটো এবং রাশিয়ার সংলাপ পুনরায় শুরু করতে সমর্থন করে। সূত্র : বিবিসি, এপি, তাস, ডেইলি মেইল, ডন, দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (11)
ম নাছিরউদ্দীন শাহ ২ মার্চ, ২০২২, ১:১৫ এএম says : 0
পুতিন রাশিয়ার সার্বভৌমত্বের জন্যে পরমানু হামলা চালাতে পিছু হটবে না। বহুবার পুতিন বলেছেন যে গৃহে রাশিয়া থাকবে না সে গৃহের দরকার কি? পুতিন ভয়ংকর ভয়ানক পরমানু বোমার হামলার ঘোষনা আগেই দিয়ে রেখেছেন। অর্থ নৈতিক নিষেধাজ্ঞা রাশিয়া কে আরো বেপরোয়া করে পেলবে কঠিন পরিস্থিতিতে বিশ্বের মানুষ। যদি মিত্রশক্তি ন‍্যাটো ভুল সিদ্ধান্ত নেয়। ইউক্রেনে অস্ত্র গোলা বারুদ অর্থ দিয়ে টিকিয়ে রাখবেন ইউক্রেন সেটি ভুল চিন্তা ধারণা। রাশিয়া দ্বিতীয় বৃহত্তম পরমানু পরাশক্তির দেশ। আরেক পৃথিবীর সুপার পাউয়ার শক্তিশালী ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক পরাশক্তি চীন। রাশিয়ার সাথেই আছে। অনেক মিত্র দেশ রাশিয়ার ওআছে। আমেরিকা বৃটেন ফ্রাস ন‍্যাটোর উস্কানিতে ইউক্রেন ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক রাজনীতি কৌশলের খেলাই ইউক্রেন ক্লিন আউট। সামনে বাধা আসলে পুতিন প্রস্তুত পৃথিবীর মানচিত্র থেকে অনেক গুলো দেশ লক্ষ কোটি মানুষ ধ্বংস হয়ে যাবে। রাশিয়ার পিছনে পেরার রাস্তা নেই।আমেরিকা রাশিয়া ও চীনের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক যুদ্ধ। অস্ত্রের যুদ্ধ। একক পরাশক্তির বাহাদুরি করতে গিয়ে। কথায় কথায় অবরোধ নিষেধাজ্ঞা। বিশ্বের মাঝে জমিদারদের মত আচরণ সমগ্র পৃথিবী ভয়াবহ বিপদে। জাতীয় সংঘ আন্তর্জাতিক মান দন্ডে কার্যকর কোন নিরাপেক্ষ ভূমিকা রাখতে পারছেনা। এটি আমেরিকার ইশারাই আমেরিকার সুরে কথা বলেন। কি হবে?কি পরিস্থিতি পৃথিবীর জন্যে অপেক্ষা করছে?পরমানু যুদ্ধ কি আসন‍্য? পরিস্থিতি মোটেই ভাল নয়। একমাত্র দায়ী আমেরিকা তার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র দেশে দেশে যুদ্ধ বিগ্রহ অস্ত্রের বানিজ‍্য। কথায় কথায় অবরোধ নিষেধাজ্ঞা। রাষ্ট্রের যখন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে।কৌতুক অবিনেতা রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধান হয়ে যান। তার কাছে তার নিকট প্রজ্ঞা আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক দায়িত্বশীল অনেক কিছুর অভাবে কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্ট তিনি করেছেন ।ন‍্যাটোর সদস্য হবেন। শক্তিশালী হবেন। তিনি এখন বলেছেন স্বীকার করছেন সৈন্য দিয়ে ন‍্যাটোর বিমান দিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ যাচ্ছে না মিত্রশক্তি বন্ধুরা। কৌতুকের অভিনয়ের স্থান রাষ্ট্রের মত গুরুত্বপূর্ণ স্থান হয় না।রাশিয়ার বিরুদ্ধে উস্কানির পর হুমকি দিয়েছেন। তার প্রকাশ‍্য পরিণতি পরিণাম আজকের উইক্রেন তার দৃষ্টান্ত। চলবে।
Total Reply(0)
Md Imteaz ২ মার্চ, ২০২২, ৫:১১ এএম says : 0
যারা ইউক্রেন রাশিয়ার ইস্যু নিয়ে মানবতার গল্প শোনাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে কথাগুলো লজ্জা করেনা আজ NATO সংস্থার... ? এই মানবতা কোথায় ছিলো আফগানিস্তান, ইরাক,সিরিয়া,ফিলিস্তিনে হামলার সময়... ধ্বংস হোক সে সব শক্তি যারা আমার মুসলিম মা, ভাই,বোন এবং ছোট বাচ্চাদের হত্যা করেছে... আজ কেন পশ্চিমারা এভাবে আর্তনাদ করছে...? আমি উইক্রেনের বিপক্ষেও না আবার রাশিয়ার পক্ষেও না... আমি চাই আমেরিকা এবং NATO সংস্থার উচিৎ শিক্ষা... আমি ইউক্রেনের মানুষের কান্না দেখে একটুও বিচলিত নই,কারন আমি ইরাক,ফিলিস্তিন,সিরিয়া,লিবিয়ান,কাস্মীরী বৃদ্ধ নারী শিশুদের বিবস্ত্র আহাজারি দেখে দেখেই বড় হয়েছি।আবেগ দিয়ে দুনিয়া চলেনা,,,,,,,,,,,
Total Reply(0)
Rasel Hasan ২ মার্চ, ২০২২, ৫:১১ এএম says : 0
এ শান্তি আলোচনা রাশিয়ার কৌশল মাত্র আর কিছু নয়, রাশিয়া ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কে পদত্যাগ করতে বলবে
Total Reply(0)
RT Ananna ২ মার্চ, ২০২২, ৫:১১ এএম says : 0
রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে বেশি বিপদে পড়েছে বিশ্ব মোড়লেরা। যুদ্ধে মুসলিম নেই, তাই কাকে জঙ্গি বলবে বুঝে উঠতে পারছেনা
Total Reply(0)
Skander Hossen ২ মার্চ, ২০২২, ৫:১১ এএম says : 0
এই মূহুর্তে যুদ্ধ বিরতিতে গেলে রাশিয়া বড়ো ভুল করবে।রাশিয়ার উচিৎ যুদ্ধটা শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়া।কারণ পশ্চিমাদের মিত্র ভলিডিমির জেলেনেস্কি সাহেবকে উচিৎ শিক্ষা দেয়া দরকার।
Total Reply(0)
MD Ibrahim Hossen ২ মার্চ, ২০২২, ৫:১২ এএম says : 0
অভিনন্দন, আলোচনা ফলস্বরূপ হোক এ-ই কামান। উভয়পক্ষের জন্য রইলো শুভকামনা!!!
Total Reply(0)
Feroz Chowdhury ২ মার্চ, ২০২২, ৫:১২ এএম says : 0
আলোচনা শুরু হয়েছে এটা ভাল খবর।তবে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে।কারন পুতিন যে কোন মূল্যেই জয় নিশ্চিত করতে চাইবে কারন পুতিনের পেছনে ফেরার সব রাস্তা বন্ধ অপক্ষে ইউক্রেনের মিত্ররা ইউক্রেনকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতেছে এবং করবে।
Total Reply(0)
Sajeeb Sami ২ মার্চ, ২০২২, ৫:১২ এএম says : 0
আলোচনা ফলপ্রসূ হোক এই দোয়াই করি, যুদ্ধ কোন সমাধান হতে পারে না সুন্দর আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের করতে হবে।
Total Reply(0)
Monsur Alan ২ মার্চ, ২০২২, ৫:১২ এএম says : 0
পুতিনতো এটা আগেই বলেছিল, দীর্ঘ ক্ষয় ক্ষতির পর শুভ বুদ্ধির উদয় হলো ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টর, এমেরিকা ন্যাটো তথা পশ্চিমা বিশ্ব এরা কারোই প্রকৃত বন্ধু নয়।
Total Reply(0)
Shamsul Huda Nozib ২ মার্চ, ২০২২, ৫:১৩ এএম says : 0
শুকরিয়া। পৃথিবী সুন্দর থাকুক। মানুষগুলো আবার নীড়ে ফিরুক।
Total Reply(0)
MD Remon Mridha ২ মার্চ, ২০২২, ৫:১৫ এএম says : 0
গুটি বাজি করে যুদ্ধ লাগিয়েছে যারা তারা এখন কী করিবে?
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন