রুশ হামলা ঠেকাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ চেয়ে তিনি আবেদন করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। সেই আবেদনে ইউরোপীয় রাষ্ট্রগোষ্ঠীর প্রাথমিক সম্মতি পাওয়ায় মঙ্গলবার রাতেই ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ভার্চুয়াল বক্তৃতায় রুশ হামলা প্রতিরোধে সাহায্যের আবেদন জানালেন তিনি। ইউরোপের দেশগুলির প্রতিনিধিদের উদ্দেশে জেলেনস্কি বলেন, প্রমাণ করুন সঙ্কটের ওই মুহূর্তে আপনারা ইউক্রেনের পাশে রয়েছেন।’ যুদ্ধের যষ্ঠ দিনে রাজধানী কিয়েভ-সহ ইউক্রেনের বড় শহরগুলোতে রুশ হামলা প্রবল হয়েছে। আকাশ থেকে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণের পাশাপাশি রুশ আর্মার্ড ডিভিশনগুলির কয়েক হাজার ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া গাড়ি নতুন করে ঢুকে পড়েছে ইউক্রেনে। তাদের রুখতে মরিয়া প্রতিরোধ চালাচ্ছে, ইউক্রেন সেনা এবং আমজনতা। জেলেনস্কি তার বক্তৃতায় সে প্রসঙ্গ তুলে বলেন, অবরুদ্ধ হয়ে পড়েই ইউক্রেনের মানুষ তাদের স্বাধীনতা এবং জমি রক্ষার লড়াই চালাচ্ছেন। আমরা জয়ী হবই। খবরে বলা হয়, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা অব্যাহত রয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে আশি হাজার ইউক্রেনীয় দেশে ফিরেছেন। এক টেলিগ্রাম পোস্টে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনে ফিরে যাওয়া আশি হাজার লোকের বেশির ভাগই পুরুষ। তারা বিভিন্ন সামরিক পদে এবং অন্যান্য আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা বাহিনীতে কাজ করেন। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশের পরপরই স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোরে স্থল, আকাশ ও নৌপথে ইউক্রেনে হামলা শুরু করেন রাশিয়ার সেনারা। উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিক থেকে, এমনকি বেলারুশ থেকেও হামলা চালানো শুরু হয়। ধীরে ধীরে রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হয় রুশ সেনারা। ইউক্রেনের সেনাদের সঙ্গে শুরু হয় তীব্র লড়াই। দেশ ছাড়া হন বহু ইউক্রেনীয়। উল্লেখ্য, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ৩৫২ বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং এক হাজার ৬৮৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া প্রচণ্ড লড়াইয়ের পাঁচ দিনে রাশিয়ার পাঁচ হাজার ৭০০ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তারা। আল-জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন