পারমাণবিক সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণ নির্মাণ করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির পূর্বাঞ্চলে এটি নির্মাণ করা হবে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এ ঘোষণা দেন। নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। জানা গেছে, সাতশ চল্লিশ কোটি ডলার ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। দেশটির প্রতিরক্ষা বাড়ানো ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করাই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার সরকার এ সিদ্ধান্ত নিলো। এর আগে দেশটি মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও ঘোষণা দেয়। ল ইন্সটিটিউট থিঙ্ক ট্যাঙ্কের আয়োজিত এক অনলাইন আলোচনায় মরিসন এ পরিকল্পনার কথা জানান। অকাস চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক সাবমেরিন প্রযুক্তি সরবরাহ করবে। তিনি বলেন, এখনই সময় নতুন পরিকল্পনার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পারমাণবিক সাবমেরিন ব্যবস্থা অর্জনসহ পূর্ব উপকূলে দ্বিতীয় ঘাঁটি নির্মাণে সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যা কৌশলগত প্রতিরোধ সক্ষমতা বাড়াবে বলেও জানান তিনি। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা এলো। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরু করে প্রেসিডেন্ট পুতিন সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের প্রতিহত করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নিরাপত্তা বাহিনীও। দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। অপর এক খবরে বলা হয়, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সোমবার অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনকে এসব মিসাইল পাঠানো হয়েছে। এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। গত সপ্তাহে ইউক্রেনকে ৫ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রাণঘাতী অস্ত্রের পাশাপাশি সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের ঘোষণা দেন স্কট মরিসন। এরই অংশ হিসেবে তিনি বলেন, আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র এখন ইউক্রেনে। একইদিন চীন-রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে কৌশলগত নয় বরং সুবিধাবাদী হিসেবে বর্ণনা করে সমালোচনা করেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। একটি স্বৈরাচার জোট হিসেবেও অ্যাখায়িত করেন তিনি। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিন্দা জানাতে বেইজিং-এর ব্যর্থতা এবং অন্যান্য দেশের নিষেধাজ্ঞা আরোপের মধ্যেও রাশিয়ায় গমের ব্যবসা সম্প্রসারণের সমালোচনা করেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়ার অভিযানের কারণে দেশটির ওপর এ পর্যন্ত বহু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পশ্চিমাদের পাশপাশি এশিয়ার একাধিক দেশ। নিক্কেই এশিয়া, আল-জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন