ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারি অভিযোগ নেই মর্মে এফবিআই ছাড়পত্র দেয়ার পর সোমবার বিশ^ব্যাপী শেয়ার বাজার চাঙ্গা হয়ে উঠেছে, সেই সঙ্গে চাঙ্গা হয়েছে ডলার এবং পেশোর মূল্যমান। মার্কিন এসএন্ডপি ৫০০ ইনডেক্স এক লাফে ১.২ শতাংশ বেড়ে গেছে, যা গত নয়দিন ধরে নি¤œমুখী প্রবণতায় ছিলো। এফবিআই’র প্রতিবেদনের ধাক্কা লেগেছে এশিয়ার শেয়ার বাজারেও। প্রধম দিনেই এশিয়ার বাজারগুলোতে চাঙ্গাভাব বিরাজ করছিলো। জাপান ছাড়া এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শেয়ার বাজারগুলোতে ০.৩ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। অস্ট্রেলিয়ায় এই বৃদ্ধির হার ০.৭ শতাংশ এবং জাপানে ১.২ শতাংশ।
হিলারির পক্ষে এফবিআইয়ের প্রতিবেদন আসায় সবচেয়ে বেশি সাফল্য এসেছে মেক্সিকোর পেসোতে। দেড়গুণ বেড়ে গেছে পেসোর দাম। মূলত রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেক্সিকোর ব্যাপারে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী-ই এ ব্যাপারে কাজ করেছে বেশি।
যদি তার বিরুদ্ধে আর কোন অপ্রত্যাশিত স্ক্যান্ডাল না ছড়ায় তাহলে শেয়ার বাজার, ডলার ও পেসোর এ চাঙ্গা অবস্থায় হিলারি ক্লিনটনের জয়ের সম্ভাবনা নিশ্চিতভাবে বেড়ে গেছে। টোকিওর মিতসুবিসি ইউএফজে মর্গান স্ট্যানলি সিকিউরিটিজের সিনিয়র বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ নোরিহিরো ফুজিতো বলেন, অর্থ বাজারের এ অবস্থায় এটাই প্রতীয়মান হয়, নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনই জয়ী হবেন।
তিনি বলেন, বাজার নয়দিন ধরে নি¤œমুখী প্রবণতায় ছিলো। বর্তমান অবস্থায় সে ক্ষয়ক্ষতি দ্রুতই পুষিয়ে যাবে। বিনিয়োগকারীরা এতদিন নার্ভাস অবস্থায় ছিলেন, কারণ হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি অবস্থায় তারা বিনিয়োগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না। কারণ তাদের পররাষ্ট্র, বাণিজ্য ও অভিবাসন নীতি অর্থ বাজারের ওপর প্রভাব ফেলেছিলো।
এসব ব্যাপারে হিলারির নীতি তার রিপাবলিকান প্রতিপক্ষ ট্রাম্পের চেয়ে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা এখন অনেকটা নিশ্চিন্ত। আর এ কারণেই হিলারির পক্ষে ইতিবাচক প্রতিবেদন আসায় চাঙ্গা হয়ে উঠেছে বিশে^র শেয়ার বাজারগুলো।
গত রোববার মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই জানায়, সরকারি সার্ভার থেকে ব্যক্তিগত কাজে ই-মেইল ব্যবহার করে হিলারি ক্লিনটন কোন ফৌজদারি অপরাধ করেছেন কি না, তার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। নির্বাচনের দু’দিন আগে এ ধরনের একটি ঘোষণা হিলারির জন্য বিরাট সাফল্যের বার্তা নিয়ে এসেছে।
শেয়ার বাজারগুলো মনে করছে, এতে করে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভও বেড়ে যাবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসংস্থান ও বেতন-ভাতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কাজ করবে। গত ছয় মাসের মধ্যে ৬৬ ইনডেক্স সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
ইয়েনের বিপরীতে ডলারের মূল্য বেড়েছে ০.৯ শতাশ এবং সর্বশেষ বিনিময় হার ছিলো ১০৪.০২ ইয়েন। এদিকে ইউরো পড়ে গেছে ০.৪ শতাংশ। মেক্সিকোর পেসো ১.৭ শতাংশ বেড়েছে। গত ২৬ অক্টোবরের পর যা সর্বোচ্চ। তবে স্বর্ণের দাম কমে গেছে এক শতাংশ। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন