শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ভেঙে গেল ‘আত্মা’র পাথর, তবে কি বিশ্বযুদ্ধ অনিবার্য!

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০২২, ১২:২৩ পিএম

কোভিড, অর্থনৈতিক সঙ্কট, তারপর মারণ যুদ্ধ, এই নিয়ে অনেকেই বলছেন, বিশ্ব কি তাহলে বড় কোনও বিপদের দিকে এগিয়ে চলেছে যেখানে তৈরি হবে সভ্যতার সঙ্কট। নস্ত্রাদামুস থেকে বাবা ভঙ্গার একাধিক ভবিষ্যৎবানীকে সত্যি প্রমাণ করে যেন এক চরম সঙ্কটের দিকেই এগিয়ে চলেছে পৃথিবী। সম্প্রতি জাপানেও এমনই এক ঘটনা ঘটে গিয়েছে, যা ইঙ্গিত করছে এমনই এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে।

সেশো সেকি ওরফে দ্য কিলিং স্টোন, একটি আগ্নেয় শিলা। কথিত আছে সেটিতে একটি অশুভ আত্মা বাস করে এবং টোকিও থেকে খুব দূরে মধ্য জাপানের একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরিতে থেকে উদ্ভুত এই শিলাকে সকলেই সে কারণে সমঝে চলে।। জাপানি পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, পাথরটি একটি অশুভ আত্মাকে নিজের অন্তরে ধারণ করেছে বলে বিশ্বাস করা হয় এবং এটি এত শক্তিশালী যে এটির সংস্পর্শে যে আসে, তাকেই মৃত্যুর মুখে পড়তে হয়। তিনদিন আগে, অর্থাৎ গত ৫ মার্চ পাথরটি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। স্থানীয়দের মন্তব্য, পাথরটি দুটি ভাগে বিভক্ত হওয়ার পরে, জাপানি স্থানীয়রা এবং অনলাইন ব্যবহারকারীরা পাথরটি থেকে ক্রমাগত বিষাক্ত গ্যাস বার হওয়ার বিষয়টি দেখতে পান।

কিলিং স্টোনটিতে তামামো-নো-মাই-এর মৃতদেহ রয়েছে বলে বলা হয়, যিনি একজন সুন্দরী মহিলা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন কিন্তু পরে তাকে নয়টি লেজওয়ালা শিয়াল হিসাবে প্রকাশ করা হয়েছিল। জাপানি পৌরাণিক কাহিনী বলে যে তামামো-নো-মাই ১১০০-এর দশকে সম্রাট টোবাকে উৎখাত ও হত্যা করার জন্য একটি শক্তিশালী জাপানি সামন্ত প্রভুর জন্য কাজ করছিলেন।

পাথর ভাঙার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনা নিয়ে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। একজন ব্যক্তি লিখেছেন, ‘এই খবরটি পড়া কিছুটা ভীতিকর, বিশেষ করে বিশ্ব এখন যে অবস্থায় রয়েছে, আমাদের আর এমন বিপদের প্রয়োজন নেই।’ একজন মন্তব্য করেছেন, ‘আমার মনে হচ্ছে আমি এমন কিছু দেখেছি যা দেখা উচিত নয়।’ তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘এর মানে কি কে জানে? এটা ভয়ঙ্কর, এটা নিশ্চিত।’ নাসু টাউন ট্যুরিং ইনফরমেশন সেন্টার নিশ্চিত করেছে যে জাপানের রাজ্যে শত শত বছর পরে পাথরটিতে এই ফাটল দেখা দিয়েছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ৯ মার্চ, ২০২২, ১:০৯ পিএম says : 0
মানব জাতি যখন ইমান চলে যাবে,তখনই পৃথিবীতে মানবজাতির পতন হবে,সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে যার যার ধর্ম অনুযায়ী পার্থনা করে ঘর থেকে বাহিরে যেতেন,কিন্তু বর্তমানে মানবজাতির এই গুলি থেকে বিরত,ইবাদত দূরের কথা সকালে ঘুম থেকে উঠেই মিথ্যা কথা গীবত আর কি করবেন,কাকে মের কে খাবে,এবং কি ধর্ম নিয়ে সং ঘাত ছেলে মা বাবা কে হত্যা করে,ভাই ভাই কে হত্যা করে ,আর জোর জুলুম এই সমস্ত কিছু,সত্য কে মিথ্যা মিথ্যা কে সত্য করেন,হক জাকাত না দেওয়া গরিব যারা অনাহারে মরে যাক আমি কোটি টাকার মালিক আমার ছেলে মেয়েরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের যেন অভাব না হয়,সে জন্য রাতা রাতি গরিবদের সম্পদ লুঠ পাঠ করা,আল্লা রাসুলের পতি আনুগত্য না হওয়া,আল্লাহর সৃষ্টি মানুষ কে হত্যা করা,এই সমস্ত কিছু থেকে আমাদের বিরত না হওয়া,এই সমস্ত কিছু যখন হয়ে গেছে,আর কি মানবজাতি অবশ্যই যে কোনো উচিলায় শেষ হয়ে যাবে,রাশিয়া ইউক্রেন শুধু উচিলা।
Total Reply(0)
Bishojite Podder ৯ মার্চ, ২০২২, ২:৪০ পিএম says : 0
সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা ই সব হয়েছে হয় হবে তবে ভবিষ্যৎ ভালোবাসার ই হওয়া মহাকাল এর বিশ্বাস!!!
Total Reply(0)
Abdul Wahab ১৩ মার্চ, ২০২২, ৯:৩২ এএম says : 0
Faltu news.
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন