ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে বিগত দুই মাসে অন্তত ৪৭ শিশু মারা গেছে এবং পঙ্গু হয়েছে। ২০১৫ সালের পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত অন্তত ১০ হাজারেরও বেশি শিশু নিহত ও পঙ্গুত্বের শিকার হয়েছে। গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি দুই মাসে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। আজ শনিবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইউনিসেফ জানিয়েছে, এই শিশুরাই গৃহযুদ্ধের ‘প্রথম’ শিকার’ এবং ‘সবচেয়ে বেশি ভুগছে’। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, ২০১৫ সালে সউদী নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট মধ্যপ্রাচ্যের দরিদ্রতম এই দেশে বিমান হামলা চালানোর পর থেকে অন্তত ১০ হাজার শিশু নিহত ও ভয়াবহভাবে আহত হয়েছে।
ইয়েমেনে ইউনিসেফের প্রতিনিধি ফিলিপ ডুয়ামেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থানে ৪৭ শিশু নিহত ও পঙ্গু হয়েছে বলে জানা গেছে। এবং প্রায় সাত বছর আগে ইয়েমেনে সংঘাত শুরুর পর থেকে জাতিসংঘের প্রাপ্ত তথ্য থেকে দেখা গেছে প্রায় ১০ হাজার ২০০-এর বেশি শিশু নিহত ও আহত হয়েছে। প্রকৃত সংখ্যা সম্ভবত অনেক বেশি।’
ডুয়ামেল আরও বলেছেন, ‘সহিংসতা, দুর্দশা ও শোক ইয়েমেনের লাখ লাখ শিশু ও তাদের পরিবারের গুরুতর পরিণতিসহ সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে। এখনই উপযুক্ত সময় একটি টেকসই রাজনৈতিক সমাধানে পৌঁছানোর। সাধারণ মানুষ ও তাদের সন্তানদের শেষ পর্যন্ত শান্তিতে বসবাস করতে দেওয়ার জন্য এটি খুবই প্রয়োজনীয়।’
ইরানসমর্থিত হুতি বিদ্রোহী ও সউদী নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটসমর্থিত সরকারি বাহিনীর মধ্যে ইয়েমেন যুদ্ধে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ পরিণতি হিসেবে মারা গেছে কয়েক হাজার মানুষ। সূত্র : আল জাজিরা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন