শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

একই জায়গায় ছ’মাসের ব্যবধানে খুন দুই যুবতী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ মার্চ, ২০২২, ১২:০৭ এএম

ছ’মাসের ব্যবধানে দুই যুবতীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার চাঁদামুনির চামটা এলাকায়। এলাকাবাসীর দাবি, ওই দুই যুবতীকে খুন করেছে কেউ বা কারা। শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় চাঁদামুনির চামটা এলাকার ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসন নির্বিকার বলে অভিযোগ তাঁদের। পাল্টা পুলিশের দাবি, তদন্ত যথাযথ চলছে। শনিবার সকালে চাঁদমুনির চামটা লাইন এলাকায় এক যুবতীর নিথর দেহ উদ্ধার হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, সকালে রেলব্রিজের পাশে বিবস্ত্র অবস্থায় ওই যুবতীর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তারা। তার শরীরে একাধিক জায়গায় ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যুবতীর দেহ এমন ভাবে রেললাইনের ধারে পড়ে ছিল, যাতে মনে হয় ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে তার। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, মৃত যুবতী ওই এলাকারই বাসিন্দা। মাদকাসক্ত ছিল সে। হেরোইনের মতো মাদকও তিনি ব্যবহার করতেন বলে পরিচিতদের দাবি। শনিবার দুপুর নাগাদ ওই যুবতীর দেহ শনাক্ত করে তার পরিবার। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রেল পুলিশ ও মাটিগাড়া থানার পুলিশ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, মেয়েটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তার পেটে ছুরির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। এ ছাড়া গোটা শরীরে অজস্র আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দেহ যেখানে মিলেছে, তার পাশেই কিছুটা জায়গায় রক্তের দাগ মিলেছে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা জানিয়েছেন, যুবতীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। ঠিক একই জায়গায় মাসছয়েক আগে একই রকম ভাবে কিসমত মাহালি নামে এক ব্যক্তির মেয়ের দেহ উদ্ধার হয়। তার মেয়েকে খুন করা হয়েছিল বলে সেই সময় অভিযোগ করেছিলেন কিসমত। সেই মৃত্যু-রহস্যের কোনও কিনারা এখনও হয়নি। তার মেয়ের মতো এই যুবতীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর কিসমতের অভিযোগ, ‘‘ওই যুবতী মাদকাসক্ত ছিলেন ঠিকই, কিন্তু তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।’’ তার কথায়, ‘‘পড়াশোনা জানা, সুন্দরী ছিল ওই যুবতী। কেন এমন ঘটনা ঘটল জানি না। নেশা করে পড়ে গিয়েছে, নাকি কেউ মেরে রেললাইনের পাশে ফেলে দিয়ে গিয়েছে তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। কিন্তু ছ’মাস আগে আমার মেয়েকেও একই ভাবে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। তার কোনও তদন্ত হয়নি। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে।’’ এবিপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন