শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে চীন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ মার্চ, ২০২২, ১২:০৭ এএম

চলতি বছরে ১ কোটি ৩০ লাখ নতুন কর্মক্ষেত্র সৃষ্টির প্রত্যাশা করছে চীন। তাদের আশা, এর ফলে কঠিন অর্থনৈতিক অবনতি থেকে পুনরুদ্ধারে সাহায্য পাওয়া যাবে। খবর এপি। চীনের প্রিমিয়ার লি কেকিয়াং ‘চাকরির সমর্থনে নীতি’র ঘোষণা দেন। এর মধ্যে ২ লাখ ৫০ হাজার ইউয়ান বাণিজ্যে কর ও ফি মওকুফ করা হবে। এ সুবিধা সবচেয়ে বেশি পাবেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা। গত বছরের শেষ প্রান্তিকে আগের বছরের তুলনায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ নেমে গেলে চাকরি হারাতে শুরু করে চীনারা। তাছাড়া বেইজিং তাদের বিস্তৃত রিয়াল এস্টেট খাতের ঋণের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনার পরই নির্মাণকাজে নিম্নগামিতা দেখা দেয়। সেই সঙ্গে যুক্ত হয় নভেল করোনাভাইরাস মহামারী এবং দুর্বল রফতানি চাহিদা। চীনের ওপর আরো একটি আঘাত আসে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের পর জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায়। তাতে বিশ্বব্যাপীই জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যায়। এক সংবাদ সম্মেলনে লি বলেন, চীনের লক্ষ্য ২০২২ সালে ১ কোটি ১০ লাখ থেকে ১ কোটি ৩০ লাখ শহুরে চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করা। পাশাপাশি ওয়াশিংটনের কাছে চীনের পণ্যের ওপর বহাল করা শুল্ক বৃদ্ধি প্রত্যাহারেরও আহ্বান জানান লি। তথ্যপ্রযুক্তির উচ্চাকাক্সক্ষা নিয়ে এক মতবিরোধের পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যদিও এক্ষেত্রে সম্ভাব্য ছাড়ের বিষয়ে বা এ দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য উদ্যোগ নেয়ার বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত দেননি তিনি। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে দুই দেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিদের কোনো বৈঠক হয়নি। তারা ফোনে কথা বললেও এ সময়ে মুখোমুখি বসার কোনো পরিকল্পনা জানায়নি বা নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থানে পরিবর্তন আনার কথা বলেনি। লি কেকিয়াং আরো বলেন, চীনের ব্যবসায়িক নেতারা মনে করেন, সরকারি বিনিয়োগ এবং পণ্যক্রয় বাড়ানোর জন্য ভাউচার দিয়ে দেয়ার তুলনায় কর মওকুফই চাকরির ক্ষেত্র তৈরির জন্য সবচেয়ে দ্রুততম উপায়। আমাদের উচিত, এসব বাজারভিত্তিক পথের ওপর নির্ভর করা এবং সেই সব বিষয়াদি সমাধান করা যেগুলো কর্মসংস্থানে জড়িত। এর আগে চলতি বছরের জন্য ক্ষমতাসীন দল বার্ষিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এ হার ১৯৯০ সালের পর সবচেয়ে দুর্বল প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা। সংখ্যাটা গত বছরের ৮ দশমিক ১ প্রবৃদ্ধির তুলনায়ও উল্লেখযোগ্য হারে কম। যদিও অর্থনীতিবিদদের মতে, এ পরিমাণ লক্ষ্য অর্জনের জন্যও সরকারি প্রণোদনার প্রয়োজন হবে। লি কেকিয়াং সতর্ক করেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতি এখন খুব চ্যালেঞ্জিং। তাই প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বেইজিংকে কঠোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন