উলফায় যোগ দিয়েছে আসামের আরও পাঁচ জন যুবক। পুলিশ সূত্রে খবর, শিক্ষিত ওই যুবকেরা গত কয়েক দিনে বাড়ি ছেড়ে অরুণাচল হয়ে উলফার শিবিরে পৌঁছেছে। পুলিশ জানায়, উলফায় যোগ দেওয়া যুবকরা হলেন নগাঁওয়ের কামপুরের তন্ময় বরা, দীপঙ্কর গোয়ালা, সুভাষ হীরা। তিনসুকিয়া থেকে যোগ দিয়েছেন মাকুমের সবুজ মরাণ, মঙ্গলদৈয়ের হীরকজ্যোতি বরা। কামপুরের তিন যুবক বাইরে কর্মরত ছিলেন। এক সপ্তাহ আগে তারা বাড়ি ফেরেন। সুভাষের জন্মদিনের পার্টিতে যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে আর ফেরেননি তারা। তিন জনের পরিবারই উলফা প্রধান পরেশ বড়ুয়া ও আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার কাছে ছেলেদের ঘরে ফেরানোর আর্জি জানিয়েছে। উল্লেখ্য, হিমন্তবিশ্ব শর্মার সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পর তিন দফায় করোনার জন্য সংঘর্ষবিরতির মেয়াদ বাড়িয়েছিল উলফা। হিমন্ত পরেশকে শান্তি আলোচনায় আহ্বান জানালেও আলোচনা শুরু হয়নি। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় উলফা সংঘর্ষবিরতিও শেষ করেছে। বৃহস্পতিবারই ‘সৈনিক দিবসের’ বিবৃতিতে উলফা স্বাধীনের প্রধান পরেশ বড়ুয়া বলেন, “আসামের প্রতি পিতা-মাতার উচিত স্বদেশ-স্বজাতির অস্তিত্বের সঙ্কটের সময় অন্তত একজন সন্তানকে মাতৃভূমির সেবার জন্য পাঠানো উচিত। মাতৃভূমির সেবা করে দেশপ্রেমের উজ্জ্বল নিদর্শন তৈরি করা সময়ের দাবি।” অবশ্য সংঘর্ষবিরতির মধ্যেও উলফা পুরোদমে সদস্য নিয়োগ চালিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২১ সেপ্টেম্বর থেকে এ বছর মার্চ পর্যন্ত উলফায় যোগ দিয়েছে ২২১ জন যুবক ও তরুণী। এর মধ্যে শুধু উদালগুড়ি থেকেই উলফায় যোগ দিয়েছে অন্তত ১৬ জন। কিন্তু উলফা যখন ক্ষয়িষ্ণু শক্তি তখনই এত যুবক-যুবতী কেন উলফায় যোগ দিচ্ছে? একাংশের মতে, সরকারি চাকরির অভাব, বেকারত্ব, সরকারি প্রকল্পের সুবিধে না মেলার কারণেই অনেকে উলফায় যোগ দিচ্ছে। আবার পুলিশের একাংশের মতে, শান্তি আলোচনা শুরুর সম্ভাবনা থাকায় দল ভারি করতে চাইছে উলফা। তাই পুরোদমে মগজধোলাই করা হচ্ছে গ্রামে গ্রামে। চুক্তি হলে মোটা পুনর্বাসন প্যাকেজের জন্যও অনেক ছেলেমেয়ে উলফায় যোগ দিতে যাচ্ছে। এবিপি।