অবৈধ সম্পর্কে সাড়া না দেয়ায় যুবকের আত্মহত্যার জেরে এক নারীর মাথার চুল কেটে প্রকাশ্যে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। সোমবার পশ্চিমবঙ্গের চুঁচুড়ার ঘুটিয়াবাজার শেফালিবাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে ওই এলাকার এক তরুণের সঙ্গে বিয়ে হয় তরুণীর। বিয়ের পরই চুঁচুড়া বুনোকালিতলা এলাকার স্বামীর মাসতুতো ভাই চন্দন দাসের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান তরুণী। প্রায় দুই বছর পর বিষয়টি জানাজানি হলে ঘরোয়াভাবে মীমাংসা করেন স্বজনরা। সম্প্রতি পেশায় রাজমিস্ত্রি চন্দন আবার ওই বাড়িতে যাতায়াত শুরু করেন বলে অভিযোগ ওঠে। প্রায় একমাস ধরে চন্দন ওই তরুণীকে ফোন করে পুরোনো প্রেম নতুন করে শুরু করার প্রস্তাব দেন। তিনি সম্পর্ক না মানলে দেড় বছরের মেয়েকে মেরে ফেলারও হুমকি দেন। কিন্তু নতুন করে সম্পর্ক শুরু করতে চাননি ওই নারী। এ ঘটনার জের ধরে ২৪ মার্চ রাতে চন্দন নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ময়নাতদন্তের পর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় চন্দনের। এ ঘটনার পর সোমবার বুনোকালিতলা এলাকার ওই তরুণীর বাড়িতে প্রায় শতাধিক মানুষ চড়াও হয়। তিনি পালিয়ে পাশে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেই বাড়ির দরজা ভেঙে টেনে-হিঁচড়ে বাড়ির বাইরে বের করা হয়। তার পরনের পোশাক ছিঁড়ে ফেলা হয়। পরে প্রকাশ্যে মাথার চুল কেটে শরীরে মরিচের গুঁড়া লাগিয়ে দেওয়া হয় ও তার স্বামীকে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে পালিয়ে যায় প্রতিবেশীরা। এ বিষয়ে চুঁচুড়া থানায় মামলা করেন ওই তরুণী। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিউজ১৮।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন