করোনা মহামারির কারণে ২ বছর বন্ধ রাখার পর অবশেষে বিদেশি যাত্রী ও ভ্রমণকারীদের জন্য সীমান্ত পুরোপুরি খুলে দিয়েছে সিঙ্গাপুর। টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণকরা বিদেশি যাত্রীদের জন্য কোয়ারেন্টাইন বিধিও সম্পূর্ণ তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে সব বিদেশী যাত্রীকে সিঙ্গাপুরে প্রবেশের সময় অবশ্যই কোভিড নেগেটিভ সনদ সঙ্গে রাখতে হবে এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ যদি সেই সনদ দেখতে চায়, সেক্ষেত্রে তা প্রদর্শন করতে হবে।
করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর মুষ্টিমেয় কয়েকটি দেশের যাত্রী ব্যাতীত অন্যান্য সব দেশের যাত্রীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা সিঙ্গাপুর সরকার; কিন্তু শুক্রবার তা তুলে নিয়ে সব দেশের যাত্রীদেরই সিঙ্গাপুরে প্রবেশ ও ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এএফপি।
আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন বাণিজ্যে সিঙ্গাপুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহামারির আগ পর্যন্ত এই দেশটি ছিল বিভিন্ন দেশের ট্রানজিট ফ্লাইটের অন্যতম কেন্দ্র। এছাড়া অন্যান্য মহাদেশের যাত্রীদের এশিয়ায় প্রবেশের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান গেটওয়ে হিসেবে কাজ করত সিঙ্গাপুর। করোনা মাহামারি ও তা ঠেকাতে বিভিন্ন দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় মহামারিপূর্ব আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন রুট তছনছ হয়ে যায়।পাশাপাশি, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের মতো সিঙ্গাপুরও কঠোর ভ্রমণ বিধিনিষেধ জারি করায় এতদিন প্রায় অচল অবস্থায় ছিল দেশটির বিমান পরিষেবা। তবে সীমান্ত নিষেধজ্ঞা তুলে নেওয়ায় দেশটির বিমান পরিবহন ও পরিষেবা খাত খুব দ্রুতই চাঙা হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। শুক্রবার সীমান্ত উন্মুক্তের প্রথম দিনই দেশটির চেঙ্গি বিমানবন্দরে বহুসংখ্যক বিদেশি যাত্রীর আনাগোনা দেখা গেছে উল্লেখ করা হয়েছে এএফপির প্রতিবেদনে।
আলদো পিজ্জিনি নামে ৬৩ বছর বয়সী ইতালীয় ব্যবসায়ী ব্যবসায়িক কারণে সিঙ্গাপুরে এসেছেন। ইতালি থেকে শুক্রবার সিঙ্গাপুরের চেঙ্গি বিমানবন্দরে নামেন তিনি। এএফপিকে পিজ্জিনি বলেন, ‘এটা সত্যিই অসাধারণ। সিঙ্গাপুর সরকার ঘোষণা দেওয়ার পর প্রথম ফ্লাইটেই এখানে এসেছি আমি।’
‘বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের মতো সিঙ্গাপুরও ভ্রমণ বিধিনিষেধ শিথিল করছে— এটা নিঃসন্দেহে সুসংবাদ। আমরা আবার সাধারণ জীবনযাপনে ফিরে যাচ্ছি।’
সিঙ্গাপুরের নাগরিক ৩৮ বছর বয়সী ডিয়ানা ম্যাথিয়াস কর্মসূত্রে আবুধাবি থাকেন। নিজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে সিঙ্গাপুর এসেছেন তিনি। চেঙ্গি বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে এএফপিকে এই নারী বলেন, ‘কতদিন পর দেশে এলাম! আমি সত্যিই খুব আনন্দিত’ সূত্র : এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন