খাদ্য, তেল ও বিদ্যুতের ভয়াবহ সংকটের প্রতিবাদে শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের বাসভবনের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভের পর কারফিউ জারি করেছে দেশটির পুলিশ। বিক্ষোভকালে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে। প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে এ ঘটনাকে চরমপন্থীদের কাজ বলে উল্লেখ করেছেন। শ্রীলঙ্কায় এখন বৈদেশিক মুদ্রার চরম সংকট চলছে, যা দেশটির অর্থনীতিকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলছে। দিনে ১৩ ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ না থাকা, তেল, খাদ্য পণ্য ও ঔষধ সংকটের কারণে দেশটিতে জন অসন্তোষ চরমে উঠেছে। তবে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনের প্রতিবাদ কর্মসূচিটি শুরুতে শান্তিপূর্ণই ছিল বলে বিক্ষোভকারীরা বলেছেন।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও পানি কামান ব্যবহারের পাশাপাশি লাঠিচার্জ শুরু করলে সেটি সহিংসতায় রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে। শুক্রবার সকালেও পুলিশ ৪৫ জনকে আটক করেছে।
এ বিক্ষোভকে একটি বড় ধরনের সরকারবিরোধী মনোভাবে বহিঃপ্রকাশ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। যদিও ২০১৯ সালে বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন রাজাপাকসে। তিনি তখন স্থিতিশীলতা ও দৃঢ়ভাবে দেশ পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে সমালোচকরা এ সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ করেছেন।
কারণ প্রেসিডেন্টের ভাই ও ভাতিজারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে আছেন। এটিকেই দেশটির বর্তমান অবস্থার জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে বলছেন অনেকে। এখন খবর বেরিয়েছে যে, দেশজুড়ে মানুষ বিদ্যুৎ না পেলেও প্রেসিডেন্ট আর তার মন্ত্রীরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাও সম্পদশালী, যা মানুষের মধ্যে ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। সরকার অবশ্য বলছে যে, করোনা মহামারির কারণে পর্যটন খাত বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণেই এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে। সূত্র : বিবিসি বাংলা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন