মালির সামরিক বাহিনী শুক্রবার জানিয়েছে, দেশটির কেন্দ্রস্থলে তাদের সামরিক অভিযান চলাকালে সংঘর্ষে ২০৩ জন নিহত হয়েছে। সংঘাতপূর্ণ এ দেশে সহিংসতা আরো অনেক বেড়ে যাওয়ায় এ অভিযান চালানো হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর এএফপি’র। সেনাবাহিনী জানায়, মালির মউরা এলাকায় ২৩ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ সামরিক অভিযান চালানো হয়। এলাকাটি সন্ত্রাসবাদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, সেখানে সেনাবাহিনীর অভিযান চলাকালে ২০৩ উগ্রবাদী নিহত এবং ৫১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ অভিযানে বিপুল সংখ্যক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এএফপি সামরিক বাহিনীর দাবি করা নিহতের এ সংখ্যা বা সামাজিক মাধ্যমে দেয়া খবরের বিষয়টি যাচাই করতে পারেনি। কেননা, মালির সঙ্ঘাতপূর্ণ এলাকায় সাংবাদিকদের প্রবেশের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ তথ্য সূত্রের ঘাটতি রয়েছে। এদিকে, মালিতে বেসামরিক নাগরিকদের নির্বিচার হত্যার খবর পাওয়ার পর, বুরকিনা ফাসো ও নাইজার সীমান্তে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের মোতায়েন করেছে। জাতিসংঘ বলেছে, ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে মালির জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন দেশটির উত্তরে ত্রিদেশীয় সীমান্তে, তাদের শান্তিরক্ষীদের মোতায়েন করেছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর হামলা ইতোমধ্যেই দুর্দশাগ্রস্ত বেসামরিক জনগণের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে’। এর ফলে ব্যাপক সংখ্যক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত বেশকিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, দেশটির উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের মেনাকা এবং গাও এলাকায় ইসলামিক স্টেট সমর্থক উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর হাতে শত শত বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। মালির বুরকিনা ফাসো ও নাইজারের সীমান্ত এলাকায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্রমবর্ধমান হারে নিরাপত্তা সঙ্কট বাড়ছে। ২০২১ সালের আগস্ট মাসে এ এলাকার গ্রামগুলোতে অন্তত ৫০ জনকে হত্যা করা হয়। এএফপি, ভিওএ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন