রমজান ধৈর্য, সহমর্মিতা, উদারতার মাস। এ মাসে মানুষ আল্লাহ তা‘আলার বাণী- ‘তোমরা পুন্য ও তাকওয়ার কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা কর আর গুনাহ ও শত্রুতামূলক কাজে পরস্পর পরস্পরকে সহযোগিতা কর না’- এর পূর্ণ পালন করতে দেখা যায়। সাহারীর পর থেকে রাতের তারাবীহ পর্যন্ত মানুষের মাঝে একটি ভাবগম্ভীর পরিবেশ বিরাজ করে। সবসময় মানুষের মাঝে পুন্যের কাজ করা, অন্য ভাইকে সহযোগিতা করার মানসিকতা কাজ করে। আর অন্য ১১ মাস যেসব অন্যায় ও বিদ্বেষমূলক কাজ স্বাভাবিকভাবে করে থাকে রমজান মাসে তা থেকে বিরত থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করে। কোনোভাবেই যেন রোজা নষ্ট না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখা হয়।
দিনভর রোজা পালনের পাশাপাশি নেকি করার প্রবল আকাক্সক্ষা মানুষকে উদার হতে সাহায্য করে। নিজের রোজার পাশাপাশি অন্য ভাইকে ইফতার করিয়ে যেন বাড়তি একটি রোজার সওয়াব পাওয়া যায় সেদিকে খেয়াল রাখেন সক্ষম ব্যক্তিরা। এমনকি আশপাশে খেয়াল করলে দেখা যায় অনেক মধ্য বা নিম্নবিত্ত মানুষও মুসলিম রোজাদার ভাইকে ইফতার করিয়ে বাড়তি সওয়াবের অধিকারী হতে মসজিদে ইফতারসামগ্রী পাঠিয়ে থাকেন বা পথে ঘুরে ঘুরে রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণ করেন।
ছবিটি দুবাইয়ের আল-ফারুক ওমর বিন খাত্তাব মসজিদের। এখানে প্রতিদিন ইফতার বহু মানুষ ইফতারে শরিক হন। আর এসব ইফতারসামগ্রী পরিবেশন করে স্থানীয় একটি দাতা সংস্থা। সূত্র : গালফ নিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন