পোষা কুকুর, বিড়াল তো বটেই সেই সঙ্গে ঘোড়া, উট, হাতির মতো বড় প্রাণীও ট্রেনে তোলা যাবে। ভারতীয় ট্রেনে পশুদের তোলার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। তবে প্রাণীর ধরন ও ওজন অনুযায়ী ভাড়া নেওয়া হয়। একটা সময় ট্রেনে হাতি তোলার রেওয়াজ ছিলো পশ্চিমবঙ্গে। শিয়ালদহ-বনগাঁ রুটের গোবরডাঙা স্টেশনেই লোক মুখে রয়ে গেছে ‘এলিফ্যান্ট’ প্ল্যাটফর্ম। স্থানীয়দের মতে, গোবরডাঙার জমিদার বংশের সংগ্রহে ছিল বিভিন্ন দেশের হাতি। ভারতীয় রেল আইনের ৭৭-এ ধারায় ঠিক করা রয়েছে পশুদের জন্য নির্ধারিত বগিতে নিয়ে যাওয়া যায়। তার জন্য আলাদা আলাদা ভাড়াও নেওয়ার নিয়ম আছে। যেমন, কুকুরের জন্য ৩০রুপি এবং একই ভাড়া ছাগল, ভেড়া, গাধা, বানর কিংবা বিভিন্ন পাখির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। গরু, মহিষের মতো শিংওয়ালা প্রাণী হলে ভাড়া ২০০ রুপি। এই তালিকাতেই পড়ে উট, খচ্চর। তবে ঘোড়ার ভাড়া বেশি, ৭৫০ রুপি। আর হাতি হলে তারও দ্বিগুণ, দেড় হাজার রুপি। এই আইন ১৯৭৮ সালের। অবশ্য যাত্রীরা পোষ্য কুকুরকেই সঙ্গে করে নিয়ে যান বেশি। আর কুকুরের ক্ষেত্রে নিয়ম অনেক বেশি স্পষ্ট। সাধারণ প্রথম শ্রেণিতে নিয়ে যাওয়া যায়। তবে গোটা বগিটাই ওই যাত্রীকে ভাড়ায় নিয়ে নিতে হবে। আবার অন্য যাত্রীরা অভিযোগ করলে পোষ্যটিকে রেল গার্ডের ভ্যানে পাঠিয়ে দিতে হয়। কিন্তু সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে লোকাল ট্রেনের কামরায় ঘোড়া নিয়ে ভ্রমণের কারণে গফুর আলি মোল্লা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার ওই ঘোড়ার মালিক গফুরকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। জানা গেছে, গেল বুধবার রাতে জেলার ডায়মন্ড হারবার লোকালে ভিড়ের মধ্যেই যাত্রীদের গায়ে গা ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল ঘোড়া। পরে এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার ওই ঘোড়ার মালিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার রাতে একটি ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার পর নিজের ঘোড়া নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন গফুর। ট্রেনে ওঠেন শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার দক্ষিণ দুর্গাপুর স্টেশন থেকে। ২৩ কিলোমিটার সফরের শেষে আটটি স্টেশন পরে নামেন নেতড়ায়। ট্রেনে নির্দিষ্ট বগি ছাড়া কোনও জন্তুকে তোলার নিয়ম নেই। আরও যাত্রীবাহী লোকাল ট্রেনে তো নয়ই। ওই অভিযোগে সোনারপুর থানার সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় গফুরকে। এবিপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন