তিনি এক ক্যারিশম্যাটিক ক্যারেক্টার, সম্মোহনের জাদুকরও কারও কাছে। কারও কাছে আবার ভীষণ প্রেমিকও বটে। সফল ক্রিকেট ক্যারিয়ারের পরই রাজনীতিতে তার আগমন। ২২ বছরের রাজনীতি তাকে ক্ষমতার সর্বোচ্চ পর্যায় আসীন করলেও শেষে অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ হারাতে হলো। ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুতির পর অনেকেই ইমরানকে প্রশ্ন তুললেও চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন ভারতীয় অভিনেত্রী সিমি গারেওয়াল। -এই সময়, জি নিউজ ও হিন্দুস্তান টাইমস
শনিবার রাতে দেশটির পার্লামেন্টের অধিবেশনে তার বিরুদ্ধে আনা বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। এতে ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট পড়েছে ১৭৪টি। প্রস্তাব পাসের জন্য দরকার ছিল ১৭২ ভোট। ইমরান খান ছিলেন পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী। শনিবার মধ্যরাতে এক টুইট বার্তায় সিমি বলেন, ‘ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রী পদ হারানো আমাদের দুটি শিক্ষা দেয়। এক, বিরোধীরা এক হলে জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রীকেও সরে যেতে হয়। দুই, রাজনীতিতে আদর্শবাদীদের স্থান হয় না।’ তিনি ইমরানের প্রশংসা করে আরও লিখেছেন, ‘আমি গত ৪০ বছর ধরে ইমরানকে চিনি। তার মজ্জায় রয়েছে আদর্শ। হয়ত জীবনে কিছু ব্যর্থতার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে। কিন্তু, দুর্নীতির সঙ্গে সে জড়িত- এ কথা মেনে নেওয়া যায় না।’
এই প্রথমবার নয়। আগেও ইমরান খানকে নিয়ে টুইট বার্তা দিয়েছিলেন সিমি গারেওয়াল। ২০১৮ সালে যখন ইমরান ভোটে জয়ী হয়েছিলেন, সে সময়ও বলিউডের এই অভিনেত্রীর টুইট সকলের নজর কেড়েছিল। তিনি বলেছিলেন, ‘একসময় ইমরান আমাকে বলেছিলেন যে- তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবেন এবং পরবর্তীতে তাকে হত্যা করা হবে। এমনটা নাকি ওকে এক পীর বলেছিলেন। মনে হয়, নিজের পরিণতি জানা সত্ত্বেও যে কোনও মূল্যে প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন ইমরান। বিষয়টি দুঃখজনক...।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন