ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে ১৫ বছরে ১ হাজার ৪০০ হামলা হয়েছে। এসব হামলার অধিকাংশের লক্ষ্য ছিল সংখ্যালঘু শিয়া ও হাজারা সম্প্রদায়। এতে কয়েক হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে। গত শনিবার রাতে বেলুচিস্তানের খুজদার জেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় শাহ নুরানির মাজারে বোমা হামলায় নিহত হয়েছে ৫২ জন, আহত হয়েছে ১০২ জন। প্রাণঘাতী এ হামলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশটিতে। এ ধরনের হামলা পাকিস্তানে এটিই প্রথম কোনো ঘটনা নয়। এর চেয়েও অনেক বেশি মানুষ মরেছে বিভিন্ন হামলায়। বেলুচিস্তান পাকিস্তানের দুর্গম ও নি¤œ আয়ের প্রাদেশ। আয়তনে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় এ প্রদেশের সঙ্গে আফগানিস্তান ও ইরানের সীমান্ত রয়েছে। ডন অনলাইনের এক খবরে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে ১ হাজার ৪০০টি হামলা হয়েছে অপেক্ষাকৃত দরিদ্র ও জঙ্গিকবলিত এ প্রদেশে। সীমান্ত প্রদেশ হওয়ায় আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের জঙ্গিরা যোগাযোগের জন্য এ প্রদেশকে নিরাপদ মনে করে। এ ছাড়া বেলুচিস্তানের স্বাধীনতার দাবিতে বেলুচ জাতি দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করছে। স্বাধীনতাকামীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ হয় মাঝেমধ্যে। সম্প্রতি পাকিস্তানে ঘাঁটি গাঁড়ার ঘোষণা দিয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। পাকিস্তান তালিবান, আফগান তালিবান, অভ্যন্তরীণ ছোট ছোট সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠী, স্বাধীনতাকামী বেলুচ আন্দোলন নিয়ে সব সময় টালমাটাল থাকে বেলুচিস্তান প্রদেশে। অক্টোবর মাসে বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটায় একটি পুলিশ প্রশিক্ষণ কলেজে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন ৬১ জন, আহত হন ১১৭ জন। রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় পুলিশ সদস্যদের ওপর তিন হামলাকারী বন্দুক চালায়। জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কার-ই-জাংভি থেকে বেরিয়ে যাওয়া জঙ্গিদল আল-আলিমি এ হামলার নেপথ্যে ছিল। আগস্ট মাসে কোয়েটায় একটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয় ৭০ জন। হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশ ছিলেন আইনজীবী। তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের দলছুট গোষ্ঠী জামাতুল আহরার এ হামলা চালায়। ডন অনলাইন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন