ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের প্রত্যন্ত এলাকার এক মাজারে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫২ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় শতাধিক মানুষের আহত হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় প্রদেশের খুজদার এলাকার শাহ নুরানির মাজারে ওই বিস্ফোরণ ঘটে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন অনলাইনের প্রতিবেদন এসব কথা জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জিহাদি সংগঠন আইএস (ইসলামিক স্টেট) দায় স্বীকার করেছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। বেলুচিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মীর সরফরাজ আহমেদের বরাত দিয়ে গতকাল রোববারের এক প্রতিবেদনে জানায়, ওই ঘটনায় ৫২ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ও সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহ এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এর আগে গত শনিবারের প্রতিবেদনে বেলুচিস্তান প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের বরাত দিয়ে কমপক্ষে ৪৩ জন নিহত হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। এখনকার মতো সেবারও সুনির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ না করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ওই ঘটনায় বেশ কয়েজন আহত হয়েছেন। খবরে আরো বলা হয়, ওই মাজারটি পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত। মাজার প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলার সময় ওই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় এবং এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় জরুরি সেবা সংস্থার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। স্বাস্থ্য কর্মীরা সেখানে পৌঁছাতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
ইসলামিক স্টেট (আইএস) ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে অপর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএস পরিচালিত আমাক নিউজ এজেন্সিতে ওই হামলা দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে সংগঠনটি। সরফরাজ এই হামলার সঙ্গে বিদেশি সংগঠন জড়িত বলে ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, এটি দূর-নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ নাকি আত্মঘাতী হামলাÑ তা এখনো নিশ্চিত নয়। ওই মাজারের তত্ত্বাবধায়ক নওয়াজ আলী বলেন, প্রতিদিন সূর্যাস্তের সময় এখানে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বিপুলসংখ্যক মানুষ উপস্থিত হন। খুজদার অঞ্চলের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আবদুল হাকিম বলেন, আজ অনুষ্ঠানটি দেখতে সেখানে কমপক্ষে ৫০০ মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। এ সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। মাজার সংলগ্ন এলাকায় বড় ধরনের কোনো হাসপাতাল নেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মির সরফরাজ বলেন, বিস্ফোরণে গুরুতর আহতদের করাচি নেওয়া হবে। ন্যাশনাল পার্টির সভাপতি মির হাসিল বিজেনজো বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার যদি আহতদের জন্য হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা না করে তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছানোর জন্য প্রাদেশিক সরকারের কাছে কোনো হেলিকপ্টার নেই বলে জানিয়েছেন বেলুচিস্তান প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র আনোয়ার কাকার। ডন, বিবিসি, এএফপি, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন